পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిఖఆ ] মনুষ্যদিগের ধারণা অদ্ভুত ব্যাপার, একটা প্রসঙ্গ লইয়া বিচার করিতে হইলে প্রত্যেক ব্যক্তি সে সম্বন্ধে স্বতন্ত্র অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। কেহ লুচি, কেহ রুট, কেহ পরটা থাইতে ভালবাসেন, কিন্তু ময়দা ও ঘৃত এক পদার্থ। ঠাকুর বলিতেন, কেহ মাছ ভাজা, মাছের ঝোল, মাছের চচ্চড়ী, মাছ ভাতে, মাছের কাবাব, মাছের কালিয়া বা পোলাও অথবা মাছ পোড়া খাইতে ভালবাসে । সৰ্ব্বত্রে মাছ এক পদার্থ। ধৰ্ম্মবিষয়টাও ব্যক্তিবিশেষে বিশেষ প্রকার দেখা যায় । একজন নিরক্ষর ব্যক্তি পিপাসান্বিত হইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে যাইয়া জলাশয় হইতে অঞ্জলি পূরিয়া জলপান করিতে কখনই ইতস্ততঃ করিবে না, একজন নিরক্ষর ব্যক্তি পথশ্রাস্ত হইয়া বৃক্ষমূলে কীটকণ্টকাদিসঙ্কুল স্থানে সুখে নিদ্রা যাইতে ভীত হইবে না, একজন নিরক্ষর ব্যক্তি বিকৃত মৎস্য ভোজন করিতে সন্দিহান হইবে না, কিন্তু যিনি পণ্ডিত, যিনি শরীর পালন ও সংরক্ষণ-শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন করিয়াছেন, যিনি জলের উত্তমাধমত| বিষয়ে জ্ঞান লাভ করিয়াছেন, যিনি স্থানিক কারণবিশেষে ব্যাধির উৎপত্তিবিষয়ক বিদ্যা লাভ করিয়াছেন, যিনি মৎস্যমাংসবিকৃতিজনিত বিশেষ প্রকার বিষের (Ptomane), উদ্ভাবন জ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছেন, তিনি কখন নিরক্ষর ব্যক্তির ন্যায় অবাধে যে কোন জলাশয়ের জল পান, যথা ইচ্ছায় শয়ন এবং যে কোন মৎস্য মাংস ভক্ষণ করিতে পারিবেন না । ফলে, যে ব্যক্তি যে প্রকার সংস্কারগ্রস্ত হইয়াছেন, যিনি যেরূপ শিক্ষা পাইয়াছেন, যিনি যেরূপ ভাবে মন সংগঠিত করিয়াছেন, তিনি সেই সংস্কার, সেই ভাব, সেই শিক্ষা অতিক্রম করিয়া কিরূপে কাৰ্য্য করবেন ? এই নিমিত্ত ধৰ্ম্ম বা ঈশ্বর বিষয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির স্বতন্ত্র প্রকার ধারণা হইয়া থাকে। ব্যক্তিবিশেষে স্বতন্ত্র ধারণা হইলে তাহার ইতরবিশেষ করিবার কাহার শক্তি