পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[* ७१० ] লেন না। শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র ক্রমে প্রাণ অধিকার করিয়া ফেলিলেন, তখন প্রাণে প্রাণে কৃষ্ণ কৃষ্ণ করিতে করিতে কৃষ্ণ ভাবই স্ফক্তি পাইতে লাগিল। তাহারা অন্তরে শ্রীকৃষ্ণের ছবি দেখিতে লাগিলেন । দেখেন আপনিই কৃষ্ণ । তখন কোন সখী আপনার বক্ষাচ্ছাদিত উত্তরীয় বস্ত্রাগ্রভাব বাম হস্তের কনিষ্ঠাঙ্গুলির দ্বারা উত্তোলনপূৰ্ব্বক চিৎকার করিয়া বলিতে লাগিলেন, “দেখ ! দেখ ! তোমরা সকলে চাহিয়া দেখ ! আমি গোবৰ্দ্ধন ধারণ করিয়া ইন্দ্রের প্রকোপ হইতে তোমাদের গোকুলে রক্ষা করিলাম । কোন সখী অপর সখীর বেণীর অগ্রভাগ বাম হস্তে ধারণ পূর্বক সদৰ্পে হুঙ্কার দিয়৷ বলিয়া উঠিলেন, “হারে পামর ! তোর এতদূর স্পৰ্দ্ধা ! তুষ্ট অামার সর্বস্বধন নিরীহ রাখাল বালকগণের জীবন নাশ করিয়া ছিলি ? এখন তোকে কে রক্ষা করিবে ?” এইরূপে প্রত্যেক সপী প্রেমোন্মাদিনী হইয়া কৃষ্ণচন্দ্রের লীলাভিনয় করিয়াছিলেন । অতিরিক্ত চিস্তার ফলে উন্মত্ততা আইসে, তাহা আমরা জানি এবং এই অবস্থায় সত্য সম্বন্ধ থাকিলে তাহার সত্য ফলই লাভ হয় । আর্কিমি ডিজের বৃত্তান্ত স্মরণ করিলে অতি চিন্তায় সাধারণ বা তুলতা আসিতে পারে না বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায়। সে যাহা হউক, লীলাভাবেও তন্ময়ত্ত হওয়া যায়। অতএব দ্বৈত এবং অদ্বৈত ভাবের পরিণাম একই প্রকার কিন্তু কাৰ্য্যপ্রণালী সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা স্থলে এই কাৰ্য্যপ্রণালীর সহিত উদ্দেশ্য মিলাইতে যাইয়া বিভ্রাটে নিপতিত হইয়া থাকি । উদ্দেশ্য বা ভাব এবং কার্য্যপ্রণালী বা স্কুল আচরণাদির তাৎপর্ষ্য জ্ঞান · লাভ করিবার নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব অগ্রে অদ্বৈত জ্ঞান অ’াচলে বাবিতে বলিয়াছেন । রামকৃষ্ণদেবের আজ্ঞানুসারে মন্থষ্যজীবন বিশ্লিষ্ট করিয়া আমরা কি