পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ ] অৰ্জ্জুনকে বলিয়াছিলেন, পুষ্পমাল্যে নানাবিধ ফুল সংস্থাপিত হয় বটে, কিন্তু অস্তরে অদ্বিতীয় আমি স্বত্রবৎ অবস্থিতি করিয়া থাকি । এই কথার তাৎপৰ্য্য যাহা, রামকৃষ্ণদেব তাহাই অভিনয় করিয়াছেন। কেবল কথায় কাৰ্য্য হয় না, তাহ হইলে শ্ৰীকৃষ্ণের কথায়ই সৰ্ব্বত্রে সমতা হইয়া যাইত। পরিতাপ সাধারণ নহে যে, হিন্দুর পূর্ণাবতার ঐকৃষ্ণের উপদেশ হিন্দুশাস্ত্রগীতা, হিন্দু হইয়া প্রতিপালন করিতে চাহেন না। বৈদান্তিক একেশ্বরবাদীরা অবতার অস্বীকারই করেন, সুতরাং শ্ৰীকৃষ্ণের কথায় ফল হইবে কিরূপে ? এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণ কার্যের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিতেন, কার্য্যে কোন বিষয় না দেখাইলে লোকের মনে কখন ধারণা হইতে পারে না । এই কারণে তিনি বৈদাস্তিক একদেশীমত অবলম্বনপূর্বক সাধন করিয়াছিলেন । সাধন স্বারা অখণ্ড সচ্চিদানন্দ সিদ্ধান্তপূৰ্ব্বক সে অবস্থাট এইরূপে প্রকাশ করিলেন । যেমন, পারার হ্রদে সীসার চাপ ফেলিয়া দিলে সীসা পার! এক হইয়া যায়, সীসা স্বতন্ত্র থাকে না, অথও সচ্চিদানন্দে জীবের তদ্রপাবস্থা হয়। অথবা, মুনের ছবি সমুদ্রের জল নিরূপণ করিতে জলমগ্ন হইলে কিয়ংকালমধ্যে গলিয়। যায়। এই দুইটা দৃষ্টান্ত দ্বার অদ্বৈতবিজ্ঞানের প্রকৃতাবস্থা প্রকাশিত হইয়াছে। অদ্বৈতবিজ্ঞানের সাধকের স্বাতন্ত্র্য থাকে না । সাধক এবং সচ্চিদানন্দ একাকার হইয় যান। সচ্চিদানন্দ পারা বা সমুদ্রবং, সাধক সীসা বা লবণের পুত্তলিকাবিশেষ। র্যাহারা বৈদাস্তিক মতকে বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম বলেন এবং প্রত্যেক নরনারীর এই অবস্থা আকাঙ্ক্ষা করেন, তাহা তাহাদের মুখে শোভা পায় না। কারণ, বিশ্ববিধাতার অখণ্ড ব্রহ্মাণ্ডের কাওকারখানা জীবের জৈব ভাব ধারণ করিতে কখন সমর্থ হইতে পারে না । विट्श्वषऊ: छौद्रुद्र श्रीष्मः श्रटेवङङॉन नखट्स, किड श्रटेक्छ विस्थांनी