পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧૯ ] উহা কখন বিনষ্ট হয় না। বাস্তবিক কাৰ্য্য চাই, বাস্তবিক অগ্নির দ্বার। বেল কুঁাটাকে দগ্ধ করিতে হইবে, তাহা হইলে উহার দ্বারা আর শরীর বিদ্ধ হওনজনিত ক্লেশামুভব করিতে হইবে না। তিনি এইরূপ চিস্ত। করিয়া পরদিবস অতি প্রত্যুষে পাইখানায় যাইয়া, হস্তে নহে, মুখে সম্মার্জনী লইয়া উহা পরিষ্কার করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । এইরূপ নানাবিধ সাধন দ্বারা, মানবজাতি কেবল কার্য্যের দ্বারা পরস্পর পৃথক জ্ঞান করিতে শিক্ষা করে বলিয়া বুঝিলেন । যিনি ঈশ্বর চিন্তা করেন, যিনি সাধন ভজন করেন, যিনি শাস্ত্রাদি পাঠ করেন, তিনি তদ্বিপরীত ভাবাপন্ন ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন। যিনি ধনী, তিনি দুঃখীকে অবজ্ঞা করেন, যিনি বলিষ্ঠ, তিনি দুৰ্ব্বলের শাসন করেন। ফলে, কাৰ্য্যই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রবল এবং কার্য্যই সকলের সৰ্ব্বনাশের মূলীভূত কারণ। কার্য্যেই বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ, কাৰ্য্যেই মূখর্ণক্ষম কৃষক, কার্য্যেই একব্যক্তি মেথর, কার্য্যেই মেথর সৰ্ব্বজনসম্মানিত অতি উচ্চ পদ অধিকার করেন । অতএব কাৰ্য্য ছাড়িয়া দিলে সকলেই এক মনুষ্যজাতি । আজ কার্য্যস্থত্রে এক ব্যক্তি রাজরাজেশ্বর, কাল কার্য্যস্থত্রে তিনি পথের কাঙ্গাল। স্থলে কাৰ্য্যই অতি প্রবল। অতঃপর রামকৃঞ্চদেব স্ত্রীজাতি লইয়া বিচার করেন। স্ত্রীজাতি এক অদ্বিতীয়, কেবল কাৰ্য্যভেদে পার্থক্য জ্ঞান জন্মায়। কার্য্যেই স্ত্রীলোক মহারাণী, কাৰ্য্যেই স্ত্রীলোক পথের কাঙ্গালিনী, কাৰ্য্যেই স্ত্রীলোক গৃহস্থের বধু সতী সাবিত্রী, কার্য্যেই স্ত্রীলোক বারাঙ্গন বলিয়া উল্লিখিত হইয়া থাকেন । অঞ্চলস্থিত অদ্বৈত জ্ঞানের ফলে তাহার সর্বত্রে মাতৃভাব জন্মিয়া যায়। তাই তিনি বলিতেন যে, “স্ত্রীজাতিমাত্রেই আমার মা। আমার ম৷ আনন্দময়ী কখন ঘোমটা দিয়া গৃহস্থের বধু হইয়া থাকেন, আবার কখন দেখি মেছুয়াবাজারের বারাণ্ডায় হু কো হাতে করিয়া খানকি