পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭૧છ ] সাজিয়া দাড়াইয়া আছেন। নরনারীসম্বন্ধে এবম্বিধ অদ্বৈত এবং দ্বৈতজ্ঞান সিদ্ধাস্ত করিয়াও তিনি নিরস্ত হন নাই । কেবল বস্তুৰ্বিশেষে অদ্বৈতজ্ঞান কখন আবদ্ধ থাকে না ; ইহা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডব্যাপিত জ্ঞান। সুতরাং, জীব, জন্তু, কীট, পতঙ্গ, উদ্ভিদ, স্থাবর, জঙ্গম, সমুদয় একাকার করিয়াছিলেন । তিনি সৰ্ব্বত্রে অদ্বিতীয় চৈতন্যশক্তি বিরাজিত দেখিয় সকলের নিকটে মস্তকবনত করিতেন । প্রত্যহ পিপীলিকা কীট পতঙ্গাদিদিগকে চিনি প্রদান করিয়া বেড়াইতেন । এই কার্য্যে কখন কখন তাহার দুইটা তিনটা বাজিয়া যাইত। ভোজন করিতে করিতে নিকটে কুকুরাদি কোন জন্তু দেখিলে অমনি ছুটয় যাইয়া তাহাকে ভোজন করাইতেন । রাত্রিকালে শৃগাল সকল আসিয়৷ আহার করিয়া যাইত। উদ্ভিদাদিতে চৈতন্যফৰ্ত্তি হওয়ায় আর তিনি পুষ্পচয়ন করিতে পারিতেন না। তৃণাদি পদদলিত হইবার আশঙ্কায় অতি সাবধানে পদবিক্ষেপ করিতেন। অসাবধান প্রযুক্ত যদ্যপি কখন তৃণ মাড়াইতেন, তাহা হইলে তিনি কাদিয়। অস্থির হইতেন । তৃণের গাত্রে হাত বুলাইয়া দিতেন, তাহাতে জল ঢালিয়া তাহার বেদন দূর করিবার চেষ্ট৷ করিতেন। জড়পদার্থ বিচার কালে তিনি টাক। এবং মাটির সামঞ্জস্য করিয়াছিলেন । কার্য্যক্ষেত্রে টাকা মাটিতে প্রভেদ অসীম । একটা টাকা এবং উহার ওজনের মাটির মূল্য এক নহে। তিনি অদ্বৈতজ্ঞানের বিক্রমে তাহা একশক্তি প্রস্থত বলিয়া বুঝিয়া লইলেন। টাকা মাটি স্থলে এক নহে কিন্তু উহাদের ঔৎপত্তিক কারণ বিচার করিলে উহাদের এক বলিতে বাধা হইতে হয়। পদার্থবিজ্ঞান মতে স্কুলে পদার্থদিগের নানাবিধ ভাব, নানাবিধ ধৰ্ম্ম এবং নানাবিধ কাৰ্য্য দেখা যায়, তাহাদের কারণাদি বিচার করিলে শক্তি ব্যতীত আর কিছুই প্রাপ্ত হওয়া যায় মা । কারণ, পদার্থদিগের অবস্থাস্তৱাদি শক্তির অধিকার