পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৮১ ] ভাবুক ৰলিয়া আনন্দ লাভ করিতেন এবং র্যাহার বাহা প্রয়োজন হইত, রামকৃষ্ণদেবের নিকট তাহার তাহ পূর্ণ হইয়া যাইত। একদা তিন জন উদাসীন সাধু আসিয়াছিলেন। এই সাধুত্রয়ের মধ্যে এক জন প্রবীণ এবং বিশেষ সুপণ্ডিত ছিলেন। র্তাহার তীর্থ পর্য্যটন করিয়া বেড়াইতেছিলেন । জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণদেবের নাম শ্রবণ করিয়া তাহার এ প্রদেশে আগমন করেন। যে দিন তাহারা প্রভুর সন্নিহিত হন, এ দাস তথায় উপস্থিত ছিল। রামকৃষ্ণদেবের কোন ধৰ্ম্মের ভেক ছিল না ; তিনি সাধারণ লোকের ন্যায় লালপেড়ে কাপড় পরিধান করিতেন। সাধুর উপস্থিত হইয়াই প্রভুকে চিনিতে পারিলেন এবং নারায়ণ বলিয়া মস্তকাবনতপূর্বক উপবেশন করিলেন। কিঞ্চিৎভাবের আলাপন হইবার পর পণ্ডিত সাধুটী নানাপ্রকার প্রমাণ প্রয়োগ করিয়া সত্ত্ব গুণের শ্রেষ্ঠত নিরূপণ করিলেন। প্রভু ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “দেখ কোন সময়ে এক গৃহস্থের বাড়ীতে তিন জন চোর প্রবেশ করিয়াছিল। চোরেরা সৰ্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া বাটীর কৰ্ত্তার হস্তপদাদি এবং চক্ষু পৰ্য্যন্ত উত্তমরূপে বন্ধন পূৰ্ব্বক নিবিড় বনে তাহাক লইয়। গেল । তদনন্তর এক জন চোর কহিল যে, আর বিলম্ব কেন, উহার গলদেশ সঞ্চাপিত করিয়া প্রাণসংহার করিলেই আমাদের কার্য্যের পরিসমাপ্তি হয়।” দ্বিতীয় চোর কহিল, “উহাকে সৰ্ব্বস্বাস্ত করিয়াছি ও হস্তপদাদি বন্ধন করিয়া বনে আনিয়াছি, শাস্তির আর অবশিষ্ট কি আছে ? উহার প্রাণসংহার না করিয়া বন্ধনাবস্থায় পরিত্যাগ করা যাক, বন্যজন্ত • গণ আসিয়া ভক্ষণ করিয়া ফেলিবে ।” তৃতীয় চোর কহিল যে, "আমার वि८वक्रनाब्र उँशब्र बकन মুক্ত করিয়া দেওয়া উচিত।” নিরাশ্রয় ব্যক্তি তৃতীয় চোরের শরণাপন্ন হইয়া সকাতরে কহিল, “মহাশয় ! দয়া প্রকাশ করিয়া বন্ধনযুক্ত করিলেন, কিন্তু আমাকে পথ দেখাইয়া না দিলে