পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! [ రిటాషి ) কিরূপে বাটীতে ফিরিয়া যাইব ? কোন পথ দিয়া আনিয়াছেন, তাহ আমি জানি না।” তৃতীয় চোর উহাকে সমভিব্যাহারে লইয়া কিয়দুর আসিয়া কহিল, “ঐ তোমার বাটা, স্বচ্ছদে চলিয়া যাও। আমি তোমার বাট পৰ্য্যন্ত গমন করিতে পারিব না।” এই তিন চোর তিনটী গুণস্বরূপ ৷ তমঃ প্রাণে মারিতে চাহে, রজঃ বন্ধনাবস্থায় রাখিতে চাহে, এবং সত্ত্ব বন্ধন খুলিয়া বাট দেখাইয়া দেয়। সেও চোর, সুতরাং বাট পর্য্যন্ত গমন করিবার তাহার অধিকার নাই । যে স্থানে সত্ত্বের গতি রোধ হয়, সেই স্থান হইতে বাটী পৰ্য্যন্তকে শুদ্ধসত্ত্ব কহে । ত্রিগুণ স্বত্বে কাহারও ব্রহ্মলাভ হয় না ; গুণাতীত বা শুদ্ধ সত্ত্বাবস্থায় উপনীত হইতে না পারিলে কেবল পথের ইতারবিশেষ ব্যতীত বাড়ী যাওয়া হয় না। সাধুরা এই কথা শ্রবণ করিয়া আনন্দে মাতিয়া উঠিলেন। তাহারা প্রায় বৃদ্ধকালে পতিত হইয়াছেন, সমগ্র ভারতবর্ষ ভ্রমণ করিয়াছেন, কিন্তু একথা কোথাও শ্রবণ করেন নাই। র্তাহাদের বিশ্বাস ছিল যে, সত্ত্বগুণী হইলেই কার্য্য মিটিয়া যায়। তাহার পর যে কাৰ্য্য থাকে, তাহা তাহারা নুতন শুনিলেন এবং তদ্বারা তাহারা নবজীবন লাভ করিলেন বলিয়। কৃতাৰ্থ হইলেন । তন্ত্রের সাধকের রামকৃষ্ণদেবকে কৌল বলিয়া জানিতেন এবং কিছুদিন প্রত্যেক শনিবারে চক্র হইত। এ প্রদেশের অচলানন্দ প্রভৃতি প্রসিদ্ধ তান্ত্রিক সাধক মহাশয়ের প্রায় সকলেই উপস্থিত থাকিতেন । শৈবমতের উপাসকেরা সময়ে সময়ে আসিতেন, তন্মধ্যে ই দেশের গৌরির নাম আমরা শুনিয়াছি। ইনি দীর্ঘকাল ঠাকুরের নিকট অব", স্থিতি করিয়াছিলেন । নবরসিক সম্প্রদায়ের বৈষ্ণবচরণ র্তাহার বিশেষ অনুগত ছিলেন। বৈষ্ণবচরণ প্রভুকে বিষ্ণুর অবতার বলিয়া প্রত্যক করেন এবং এই সম্বন্ধে তিনি এক খানি সংস্কৃত গ্রন্থও প্রণয়ন করিয়া