পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిని J ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ সে গ্রন্থ খানির অদ্যাপিও কোন সন্ধান করিতে পারি নুই। রামকৃষ্ণদেব একবার ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টে যাইয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন ; তথায় শিখ রেজিমেণ্টে কতিপয় শিখ ভক্ত ছিল । র্তাহারা প্রভুকে নানক সাহেব বলিয়। জানিতেন। শিখেরা তিন দিন প্রভুর সেবা করিবে বলিয়া অধ্যক্ষ সাহেবের অনুমতি লইয়াছিল। রামকৃষ্ণদেব ক্যান্টনমেণ্টে তিন দিন শিখদিগের সহিত আনন্দ করিয়াছিলেন। নেপালের প্রতিনিধি মেজর বিশ্বনাথ উপাধ্যায় একজন নেপালী ব্রাহ্মণ। তিনি সপরিবারে প্রভুর কৃতদাসের ন্যায় পরিবর্তিত হইয়াছিলেন। বিশ্বনাথ প্রভুকে যেরূপ শ্রদ্ধা ভক্তি করিতেন, তাহার একপরমাণু শ্রদ্ধা ভক্তি আমরা পাইলে কৃতাৰ্থ হইয়া যাই। বিশ্বনাথের স্ত্রী আপনি শুদ্ধাচারের সহিত প্রভুর জন্য পাক করিতেন এবং তিনি আপনিই ভোজন করাইয়া দিতেন । ভোজনান্তে প্রেমিক দম্পতি প্রভুর পদসেবা করিয়া মানবজীবন চরিতার্থ করিতেন । ঠাকুরের শোচ প্রস্রাব ত্যাগের জন্য দ্বিতল গৃহের ছাদের উপরে তাবু খাটাইয়। রাখি. তেন। এপ্রকার ভক্তির কার্য্য আমাদের দেশের লোকেরা আপনার ইষ্টদেবের প্রতিও কখন কেহ দেখাইতে জানে না । বৈষ্ণবচূড়ামণি বঙ্গের গৌরব কালনার ভগবানদাস বাবাজীর সহিত একবার প্রভুর সাক্ষাৎ হয় । ভগবানদাস বাবাজীর বয়স স্থির করিয়া কেহ বলিতে পারিতেন না । শতবর্ষের অধিক বলিয়া অনেকের ধারণা আছে । রামকৃষ্ণদেব বাবাজীর আশ্রমে উপস্থিত হইবামাত্র তিনি চমকিয়া উঠিয়া বলিলেন, “আজ কোন মহাপুরুষ অধীনকে কৃতার্থ করিতে আসিয়াছেন, আমার শরীর কেমন করিতেছে।” বলিতে বলিতে প্রভু তাহার সমক্ষে আসিয়া সমাধিস্থ হইয়া পড়িলেন। ভগবান