পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ουυ Ι হইয়াছিলেন, এমন দৃষ্টাস্ত দুই তিনটী স্থানে পাওয়া যায়। চৈতন্যদেব যেমন অহরাগে কেশোৎপাটন ও মুখবর্ষন করিতেন, মহম্মদ গিরিকন্দরে বসিয়া থাকিতেন, কেহ নিকটে যাইলে তাহাকে ছেদন করিতে আসিতেন । ঈশা চল্লিশ দিবারাত্র অনাহারে ছিলেন, এর অবিকল সেইরূপ লক্ষণ দেখা গিয়াছে।” এক্ষণে আমরা বুঝিতে চাই যে, রামকৃষ্ণদেবকে ভিন্ন সম্প্রদায়ের সাধকের কি ভাবে দেখিতেন? তাহারা সকলে কি আপনাপন পন্থ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক রামকৃষ্ণদেবের কল্পিত কোন নূতন ধৰ্ম্মের অনুগামী হইয়াছিলেন ? প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলিতেছি যে, যে ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের যে ভাব, সেই সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা রামকৃষ্ণকে সেই ভাবে দেখিয়াছেন । পরমহংসেরা পরমহংস বলিতেন, কেন না, পরমহংস বলিলে ভগবানকেই বুঝায়। তান্ত্রিকের। কোঁল বলিতেন, কৌল বলিলে শিবত্ব প্রাপ্ত হওয়া বুঝায়। তন্ত্রমতে শিবই অদ্বিতীয় ঈশ্বর। কালী উপাসকের রামকৃষ্ণকে কালী বলিয়া জানিতেন। রাণী রাসমণির জামাতা মথুর বাবুও রামকৃষ্ণদেবকে তাহদের প্রতিষ্ঠিত কালীর মানবলীলারূপ বলিয়। সচক্ষে দর্শন করিয়াছিলেন । এই নিমিত্ত যেদিন কালীর অন্নব্যঞ্জন নিবেদিত হইবার পূৰ্ব্বে রামকৃষ্ণদেব ভক্ষণ করিয়া ফেলিতেন, সেইদিন মথুর বাবুর আনন্দের সীমা থাকিত না । কেহ কেহ তাহাকে শ্ৰীমতি জ্ঞান করিতেন। সাধনকালে তিনি প্রথমে রাধার ভাবে পরিচ্ছদাদি পরিধানপূর্বক কৃষ্ণ কৃষ্ণু করিয়া সমাধিস্থ হইতেন । মথুর বাবু এই সময়ে তাহার পেশোয়াজ কাচুলি ও নানাবিধ অলঙ্কার প্রস্তুত । করিয়া দিয়াছিলেন । রামকৃষ্ণদেব যে সময়ে বৃন্দাবনেগমন করিয়াছিলেন, গঙ্গামাতা নায়ী জনৈক পশ্চিমাঞ্চলের বৃদ্ধ সাধবী তাহাকে দর্শন করিবামাত্র দুলালী