পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిన ) দুলালী ( দুলালী শ্ৰীমতি রাধিকার নাম ) বলিয়া আলিঙ্গন করিয়াছিলেন । তিনি রামকৃষ্ণকে লইয়া সৰ্ব্বদা বৃন্দাবনের ব্রজ লীলা বিষয়ে আলাপ করিতেন এবং মধ্যে মধ্যে রহস্ত করিয়া বলিতেন, “তোমার কি এখন সে সকল কথা মনে হয় ?” তিনি সৰ্ব্বদা সখী সম্বোধন করিয়া কথা কহিতেন । যে মুসলমান ডাক্তারের কথা উল্লিখিত হইয়াছে, তিনি যদিও সঙ্কীৰ্ত্তনে নৃত্য করিয়াছিলেন, যদিও মহাপ্রসাদ ধারণ করিয়াছিলেন, কিন্তু রামকৃষ্ণদেব র্তাহাকে হিন্দু হইতে, অথবা হরিনাম, কিম্বা কালীনাম উচ্চারণ করিতে বলেন নাই । তিনি আপনভাবে অবস্থিতি করিয়াছেন। উইলিয়েম, পি, ডি, মিশির প্রভৃতি খৃষ্টানদিগের খৃষ্টানধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিতে একদিনও আজ্ঞা করেন নাই । তাহার। অস্থাপি থষ্টানই আছেন। রামকৃষ্ণদেবের কৃপায় তাহারা যে কি জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন, তাহার একটা ঘটনা উল্লেখ করিতেছি। একদা উইলিয়মের সহিত কথোপকথন করিতে করিতে আমি ঠনঠনের সিদ্ধেশ্বরীর নিকটে উপস্থিত হই। উইলিয়েম বাস্তবিক রামকৃষ্ণদেবের কৃপা পাইয়াছেন কিনা, জানিবার জন্য অতিশয় কুতুহল জন্মিল। আমি তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া দেবীর সম্মুখীন হইয়া প্রণাম করিলাম। উইলিয়ম একজন খৃষ্টান, খৃষ্টানের সাকার উপাসনাকে পৌত্তলিকতা বলিয়া অবজ্ঞাস্বচক ভাব ঘোষণা করেন। যে খৃষ্টানের হিন্দুর দেবদেবীকে যথা ইচ্ছা অবজ্ঞা করেন, হিন্দু জাতির ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম সমুদয় দোষসন্ধুল জ্ঞানে হিন্দু নরনারীর জাতিকুল পরিত্যাগপূর্বক খৃষ্ট ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং যে ব্যক্তির পিতা এক সময়ে স্বইচ্ছায় খৃষ্টান হইয়াছিলেন, সেই খৃষ্টান উইলিয়েম আনন্দময়ীর সমক্ষে আসিয়া মস্তকাবনত পুৰ্ব্বক সেলাম করিলেন। আমি আনন্দে জিজ্ঞাসা করি