পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిసెe ) লাম, "আমাদের মৃন্ময়ী দেবীকে সেলাম করিলেন কেন ?” তিনি পরমপুলকে কহিলেন, “আমার খৃষ্টকে দর্শন করিলাম ।” অতঃপর তিনি কহিতে লাগিলেন যে, “ভাই ! আর কি আমার পূৰ্ব্বভাব আছে। প্রভু রামকৃষ্ণ তৎসমুদয় চূর্ণ করিয়া নবচক্ষু দিয়াছেন। পূৰ্ব্বে যাহা বুঝিতে পারিতাম না, পূৰ্ব্বে যাহা দেখিতে পাইতাম না, এক্ষণে র্তাহার প্রসাদে দেখিতে পাই এবং বুঝিতে পারি। এখন সময়ে সময়ে মনে হয় যে, কত কুকৰ্ম্মই করিয়াছি । কি করিব, আমাদের শিক্ষাই ছিল দেবদেবী ঘৃণা করা। কিন্তু কি সৌভাগ্যে আমরা প্রভুর কৃপাকণ লাভ করিয়া নবজীবন পাইয়াছি !” কেশব বাবু ব্রাহ্ম ছিলেন। তিনি সতত নীরস ধৰ্ম্ম উপাসন করিতেন, একথা এক সময়ে তাহার সম্প্রদায় হইতে প্রতিধ্বনিত হইয়াছে। রামকৃষ্ণদেব কেশব বাবুকে শক্তি মানাইয়া, মা বলিয়া উপাসনা করিতে শিক্ষা দেন। তদবধি ব্রাহ্মসমাজে মাতৃভাবের উপাসনা সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। {\ ১৮০৮ শকের ১লা আশ্বিনের ধৰ্ম্ম তত্ত্ব পত্রিকায় লিখিত আছে যে, “পরমহংসের জীবন হইতেই ঈশ্বরের মাতৃভাব ব্রাহ্মসমাজে সঞ্চারিত হয়। সরল শিশুর ন্যায় ঈশ্বরকে সুমধুর মা নামে সম্বোধন এবং তাহার নিকট শিশুর মত আবদার করা, এই অবস্থাটা পরমহংস হইতেই আচার্যাদেব বিশেষরূপে প্রাপ্ত হন। পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম শুষ্ক তর্ক ও জ্ঞানের ধৰ্ম্ম ছিল । পরমহংসের জীবনের ছায়া পড়িয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে সরস করিয়া ফেলে।” রামকৃষ্ণদেবের কৃপায় ব্রাহ্মসমাজের যে কি পৰ্য্যস্ত কল্যাণ সাধিত হইয়াছিল, তাহা শ্রদ্ধাস্পদ প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ই ইং ১৮৭৯ সালের থিষ্টিক কোয়াটাল রিভিউতে রামকৃষ্ণদেব বিষয়ে প্রবন্ধ লিখিবার সময় পাঠকের বিশ্বাস বৃদ্ধি করিবার মানসে