পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిసెఅ ) করিলে শ্বাসক্লেশ উপস্থিত হইয়া মৃত্যুর গ্রাসে পতিত হয়। কিন্তু ভাবিয়া দেখুন দেখি যে, মাতৃগর্ভে জলের ভিতর কিরূপে জীবিত থাকা যায় ? আহার না করিলে প্রাণ ওষ্ঠাগত হইয় পড়ে, কিন্তু মাতৃগর্ভে বিনা ভোজনে কেমন করিয়া একদিন নহে, দুইদিন নহে, সুদীর্ঘকাল অবস্থিতি করা যায় ? বৈজ্ঞানিকের নানাপ্রকার কারণ দর্শাইবেন । র্তাহার। বলিবেন যে, তখনও ফুসফুসের কার্য্য আরম্ভ হয় নাই, সেই জন্য বায়ুর অপ্রয়োজন, সুতরাং বায়ুবিহীন স্থানে তাহার থাকিবার অসুবিধা হয় না । আহারের কার্য্য মাতুশোণিত দ্বারা সম্পন্ন হয়, সুতরাং, স্কুল ভোজ্য পদার্থের প্রয়োজন হয় না, কিন্তু এ সুন্দর নিয়ম কাহার ? এ সুন্দর ব্যবস্থা কাহার ? সেই বিশ্ববিধাতার কি এ সকল কাৰ্য্য নহে? যুগে যুগে কত জগাই মাধাই তরিয়া গিয়াছে, তাহা আমরা শুনিতে পাই । কে র্তাহাদের পরিত্রাণ করেন ? সাধুরা ? কখন না। পণ্ডিতেরা ? কখন না । কোন বিশেষ দেবদেবী ? কখন না। তবে কে পথভ্রাস্ত আত্মত্রাস্ত নরনারীর কল্যাণ স্বাধন করেন ? তাহাদের কল্যান সাধন হয়, ইহা সত্য ঘটনা। যেমন, যোগীর পরিত্রাণ হয়, যেমন জ্ঞানীর পরিত্রাণ হয়, যেমন সাধকের পরিত্রাণ হয়, যেমন ভক্তের পরিত্রাণ হয়, তেমনি পাষণ্ড, বৰ্ব্বর, মুখ, অজ্ঞানী, অভক্ত, মাতাল, লম্পট, বারাঙ্গনারও কিনারা হয়। তাহার ল পায়, সশরীরে দেবতা বাঞ্ছিত পরম পদার্থ লাভ করিয়া থাকে । আমরা একথা শুনিয়াছি এবং প্রত্যক্ষ দেখিয়াছি। সশরীরে আমরা সম্ভোগ করিয়াছি, গঙ্গাজল, তামাতুলসি স্পর্শ করিয়া একথার সাক্ষ্য দিতে পারি । মহাশয়! ভগবান যদ্যপি জ্ঞানীর একচেটে হইতেন, ভগবান যদ্যপি পরিমার্জিত ধীশক্তিসম্পন্ন সুপণ্ডিতের একচেটে হইতেন, যদ্যপি নীতিজ্ঞ ভদ্রলোকের হইতেন, তাহা হইলে আমাদের