পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৯৭ ] কস্মিনকালে উপায় হইত না। আমরা যে পাষণ্ড নরাধম ছিলাম, তাহাই থাকিতাম। আমরা ভগবান দেখিয়াছি, আমরা তাহার প্রসাদ খাইয়াছি, আমরা তাহার ক্রীতদাস বলিয়া পরিণত হইয়াছি। এ সৌভাগ্য পণ্ডিতের হয় মা, এ সৌভাগ্য জ্ঞানীর হয় না, এ সৌভাগ্য কৰ্ম্মীর হয় না, এ সৌভাগ্য ধনীর হয় না, এ সৌভাগ্য মানীর হয় না, যাহাদের কেহ নাই, অনাথনাথ তাহাদের। পতিত বলিয়া সমাজ যাহাদের অবজ্ঞা করে, সেই পতিতদিগের জন্য পতিতপাবন । যাহার নিধনী, পথের কাঙ্গাল কাঙ্গালিনী, তাহাদের জন্য কাঙ্গালের ঠাকুর। একথা কাঙ্গাল কাঙ্গালিনী ব্যতীত অন্যের বুঝিবার অধিকার নাই। ধনের গৰ্ব্বে ধনী গৰ্ব্বিত, পাণ্ডিত্যের গৰ্ব্বে পণ্ডিত গৰ্ব্বিত, সাধনাগৰ্ব্বে সাধক গৰ্ব্বিত, ভগবানের সম্বন্ধ সেথায় স্থাপিত হইবে কিরূপে ? এই নিমিত্ত কাঙ্গাল কাঙ্গালিনীরাই যুগে যুগে অগ্রে পরিত্রাণ পাইয়া থাকে । সমাজবিতাড়িত সাধারণের ঘৃণিত পাষণ্ডপুঞ্জের পরিত্রাণের জন্য ভগবানের এত মাথা ব্যথা কেন ? সামঞ্জস্য স্থাপন করা তাহার কাৰ্য্য। যখন পাষণ্ডেরা বলবান হয়, তখনই তাহাদের দলন না করিলে সাধারণ সমতা রক্ষা হয় না । অত্যাচারী রাবণের দ্বারা স্বৰ্গ, মৰ্ত্ত, পাতালের সমতা ভঙ্গ হইয়াছিল, তাই ধন্থধারী রামের অবতরণ । কংশের অত্যাচারে যখন সকলের শাস্তি ভঙ্গ জনিত মনের সমতা বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল, শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র তখন অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। হিংসাবৃত্তির উত্তেজনায় যখন সৰ্ব্বসাধারণের মানসিক অসমত উপস্থিত হইয়াছিল, তখন বুদ্ধদেব আবিভূত হইয়াছিলেন। দুর্বল কলির জীবের সাংসারিক আসক্তির প্রাবল্য জনিত স্বার্থপরতার বৃদ্ধি, জ্ঞানবিলুপ্তি এবং পশুবৎ আকারে পরিণত হওয়ায় প্রেমাবতার শ্ৰীগৌরাঙ্গ