পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 85 e ] যে, ফল খাইয়া অমরত্ব-লাভ করা যায়, একথা সাধারণ বুদ্ধির গোচর নহে। এপর্য্যন্ত কি কেহ একথা শুনিয়াছেন ? এইরূপ নানাবিধ কথা বলিব ।” চতুর্থ ব্যক্তি আপন অংশের ফল হইতে কিঞ্চিৎ ভক্ষণ করিয়া মহাত্মাকে প্ৰণতি পূৰ্ব্বক চতুর্দিকে চাহিয়া দেখিল যে, গিরির সন্নিধানে লোকালয় আছে। সে অতি সত্বর মহাব্যস্ত হইয়া একটা অত্যুচ্চ শৃঙ্গোপরি আরোহন করিয়া প্রাণপণে চীৎকার পূর্বক কহিতে লাগিল, “ওহে গ্রামবাসিগণ ! তোমরা সপরিবারে আইস, আমি অমরত্ব-লাভের ফল পাইয়াছি। তোমরা তাহার অংশস্বাদন পূৰ্ব্বক কালের হস্ত হইতে পরিমুক্তি লাভ করিয়া যাও।” মহাত্মা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, “আরে মুখ ! তোকে আমি যাহা নিষেধ করিলাম, তুই তাহাই আমারই সমক্ষে কাল বিলম্ব না করিয়া উল্লঙ্ঘন করিলি ? তোকে আমি অভিশাপ দিব।” সে কহিল “প্ৰভু ! অভিশাপ দেন, বক্ষ পাতিয়া গ্রহণ করিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু প্ৰভু বলুন দেখি, সহজে কি অমরত্ব লাভ করিতে কেহ কখন কৃতকাৰ্য্য হইয়াছে ? সৌভাগ্যক্রমে আপনার কৃপায় আমি সেই অমরত্বলাভ করিবার উপায় পাইয়াছি, তাহা সাধ্যমত অন্তকে না দিয়া কেমন করিয়া নিশ্চিস্ত থাকিব ? কিন্তু আমার পরিতাপ এই যে, আমরা চারিজন চরিটা ফল পাইয়াছিলাম। যদ্যপি সকলে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিং ভক্ষণ করিয়া অবশিষ্ট ফল রাখিতেন, তাহা হইলে হাজার হাজার নর-নারীর কল্যাণ সাধিত হইত ।” বলিতে বলিতে সাধু অদৃগু হইলেন । জামাদের অবিকল সেইরূপ ঘটিয়াছে। অনেকেই রামকৃষ্ণদেবের চরণ প্রসাদে কৃতাৰ্থ হইয়াছেন, অনেকেই তাহার অমৃত-ভাগুের সুস পান করিয়াছেন, অনেকেই তাহর অক্ষয়তাণ্ডারস্থিত রত্ন সমূহ সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছেন । কিন্তু তাহারা উক্ত তিনজন ব্যক্তির