পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8>> ) কায় স্বার্থপর, আপনাপন মুখ পুছিয়া বসিয়া আছেন। যেমন চতুর্থ ব্যক্তি, আক্ষেপ করিয়া বলিয়াছিলেন যে, সকলের অংশ দিলে অষ্ঠের প্রচুর হইত, আমিও আক্ষেপ করিয়া বলিতেছি যে, যদ্যপি সকলে আপনাপন সংগৃহিত অংশ হইতে সাধারণকে কিছু কিছু প্রদান করিতে চেষ্টা করিতেন, তাহা হইলে এত দিনে বাঙ্গালা দেশ কেন, সমুদয় ভারতবর্ষ রামকৃষ্ণ নামামৃতরস পান করিয়া অমরত্ব লাভ করিত । আমার এ প্রকার অাক্ষেপ করিবার বিশেষ কারণ আছে । অনেকের স্মরণ আছে যে, ইতিপূৰ্ব্বে প্রত্যেক মাসে প্রভুর নামামৃত পান করিয়া আমরা কৃতাৰ্থ হইতাম । কিন্তু গৃহী আমরা, কামিনীকাঞ্চনের ক্রীতদাস হইয়৷ রহিয়াছি, তাহারা তাহাতেও প্রতিবন্ধক জন্মাইল, সুতরাং, আর আমরা এমন কি ছয় মাসেও একত্রিত হইতে পারিতাম না। পরে বৎসরান্তে আসিয়া দাড়াইল । কিন্তু এ বৎসরে যেরূপ বিভীষিক উঠিয়াছিল, তাহাতে এ দাসের পুনরায় আপনাদের সমক্ষে উপস্থিত হইবার কোন আশা ছিল না। সে যাহা হউক, প্রভুর লীলাসম্বরণের পর এই সুদীর্ঘ কালের মধ্যে আর দ্বিতীয় ব্যক্তি কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন না, দেখিয়া বাস্তবিক মৰ্ম্মাহত হইয়াছি। আমি এই কথা বিশ্বাস করি যে, যদ্যপি কেহ দুই পয়সা উপার্জন করিতে পারে, সে ব্যক্তি সৰ্ব্বাগ্রে আপন পরিবার, বর্গের সহায়তা করিতে চেষ্টা করিবে, পরে তাহা হইতে উদ্বর্ত হইলে বাটীর বহির্দেশে বাহুপ্রসারণ করিলে একদিন শোভা পায়। বিশেষতঃ যখন ষে দেশে ধৰ্ম্ম-সংস্থাপনের প্রয়োজন হয়, তখন সেই দেশে ভগবান অবতীর্ণ হন, এবং তথায় কাৰ্য্য সম্পন্নকালে সেই ঢেউ অন্তত্ৰে যাইয়। উপস্থিত হয় ।