পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪১৯ ] বড়ার ভিতর নিক্ষেপ করিল এবং অতি ক্লেশে দিন যাপন করিতে লাগিল । নাপিতের পূৰ্ব্ববং মলিন অবস্থা দেখিয়া একদিন রাজা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “পরামানিক ! সত্য করিয়া বল, তোর এরূপ দুর্দশা হইবার কারণ কি ? পূৰ্ব্বে যে অর্থে স্বচ্ছন্দে দিন যাপন হইত, এখন তাহার দ্বিগুণেও হয় না ; কথাটা উপেক্ষার নহে। আমি অনুসন্ধান করিয়া জানিয়াছি যে, পুৰ্ব্বাপেক্ষ সংসার খরচ বৃদ্ধির অন্য কোন কারণ হয় নাই। ভিতরে ভিতরে নিশ্চয় কোন ভ্রমে পড়িয়াছিস্ ! বলিতে পারিস , তুই কি বঁাশবন হইতে সাত ঘড়া টাকা আনিয়াছিস ?” নাপিত কৃতাঞ্জলিপুটে অতি বিষাদিত হইয়া কহিল, “মহারাজ ! আমি অতি বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছি, তাহাতে এমন কে পাষণ্ড আপনাকে একটা মিথ্যা কথা বলিয়া গিয়াছে। মহারাজ বাশবনের টাকা আমায় দিবে কেন ? আপনি ওকথা বিস্মৃত হইয়া যান।” রাজা কহিতে লাগিলেন, "আরে বাতুল ! আমায় বল্লিবে কে ? আমি তোর লক্ষণ দেখিয়া বুঝিয়াছি। দেখ! সেই টাকা এখনি ফিরাইয়া দে। তাহ না করিলে তোর দুর্দশার অবধি থাকিবে না। তোর স্মরণ নাই যে चाभि छश जइ नाइ ? छूझे ७कथा छोनिब्बा ८कन नईशाष्ट्रिय ? তোর ভয় নাই, আমি সে টাকা লইব না। সে জমার টাকা, খরচের নহে। আমি বুঝিয়াছি, ঐ সাত ঘড়ী টাক যক্ষের দ্বারা সংরক্ষিত হইতেছে। যাহার জন্য টাকাগুলি রক্ষা করিতেছে, তাহার এখনও সাক্ষাৎ পায় নাই। সেই জন্য উহা বাড়াইয়া রাখিবার জন্য চেষ্ট। করিতেছে । আমার পরামর্শ শোন, যে টাকাগুলি তুই বড়ায় রাখিয়াছিল, সে টাকাগুলি পারিস ত বাহির করিয়া লইতে চেষ্ট৷ কর, কিন্তু তুই তাহ পাইবি কি না বলিতে পারি না ।"