পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8२.० ] রাজাজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া নাপিত, বাশবনের নিকটে যাইয়৷ উচ্চৈঃস্বরে বলিল “ওগে মহাশয় । যে টাকাগুলি আমায় দিয়াছিলে, সেই টাকাগুলি আমার কি অন্তের ?” কোন উত্তর আসিল না। নাপিত তখন মনে করিল, রাজা আমায় অন্যায় কথা বলিয়াছেন । কৈ কেহ কোন কথা বলিল না। পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল, “ওগো যক্ষ মহাশয় ! আমায় যে সাত ঘড়া টাকা দিয়াছিলে, তাহ জমা না খরচের ?” তথাপি কোন প্রত্যুত্তর আসিল না। নাপিত কি করিবে ভাবিতে লাগিল। রাজার আদেশ টাকা অবশ্যই প্রত্যপণ করিতে হইবে, এই চিন্তা করিয়া পুনরায় বলিল, “যাহা হউক, তুমি সেই টাকাগুলি ফিরাইয়া লও, আমি তাহা লইব না।” এই বলিয়া নাপিত অতিশয় ব্যস্ত হইয়া গৃহে প্রত্যাগমন করিতে লাগিল, ঘড়া হইতে কিছু টাকা বাহির করিয়া লইবে স্থির করিল, কিন্তু হায় গৃহে আসিবামাত্র গৃহিণী কাদিতে কাদিতে সংবাদ দিল । যে, “তুমি রাজবাড়ী যাইবার পরক্ষণেই ঘড়া সাতটা কে চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছে।” নাপিত একেবারে অধৈৰ্য্য হইয়৷ উন্মাদের ন্যায় রাজসন্নিধানে সমাগত হইয় তাহার চরণযুগল ধারণ পূৰ্ব্বক ক্ৰন্দন করিতে করিতে বলিতে লাগিল, “মহারাজ ! রক্ষা করুণ, আমার যথাসৰ্ব্বস্ব গিয়াছে, একটা ঘটি বাটিও রাখি নাই, এক খান নূতন বস্ত্রও রাখি নাই, একট পয়সাও রাখি নাই, সমস্ত টাকা কড়ি ঘড়ায় রাবিয়াছিলাম। আমার কি হইবে ? মুৰ্থ আমি, জাতিতে নাপিত, লেখা পড়া জানি না । মহারাজের কৃপায় জীবন যাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিয়াই মুখে ছিলাম, কি অশুভক্ষণে যে টাকার লোভে পড়িয়াছিলাম যে, আমার দুর্গতির একশেষ হইয়া গেল । মহারাজ রক্ষা করুণ, আপনি না রক্ষা করিলে আমি সপরিবারে অল্প