পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪২১ ] বিনা মারা যাইব । আপনি মাতা, আপনি পিতা, আপনার নিকটে আর লুকাইব না, মহারাজ ! আজি ছয়মাস কখন আমরা প্রত্যহ এক সন্ধ্যা আহার করিতে পাই নাই। কোন দিন কেবল শাক সিদ্ধ করিয়া প্রাণ ধারণ করিয়াছি, কোন দিন গাছের পিয়ার দ্বারা জীবন রক্ষা করিয়াছি, কোন দিন কেবল অঞ্জলি পুরিয়া জলপান দ্বারা দিন কাটাইয়াছি। আর বঁাচিন, মহারাজ আমাদের সপরিবারকে রক্ষা করুণ।” রাজা নাপিতের দুঃখের কাহিনী শ্রবণ করিয়া যারপরনাই বিবাদিত হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ কোষাধ্যক্ষকে প্রচুর অর্থদান করিবার নিমিত্ত আজ্ঞা দিলেন । রামকৃষ্ণদেব নাপিতের এই গল্পটার দ্বারা সাধারণকে সতর্ক করিয়া বলিতেন যে, জমা খরচ বোধ না থাকিলে, সকলেরই নাপিতের ন্যায় দুদ্দশা ঘটিয়া থাকে। প্রভু বলিতেন যে, এই সংসারে সকলেই ব্যবসা করিতে আসিয়াছে ; যাহার যত দূর জমা খরচ বোধ থাকিবে, তাহার ব্যবসায় ততদুর উন্নতি হইবে । তিনি তদনন্তর বলিতেন যে, ব্যবসা বলিলে কেবল অথোপার্জন করিবার স্বপ্রণালীকে বুঝায় না। ইহা ব্যতীত অন্ত অর্থও আছে। কিরূপে মনুষ্য জীবনের ব্যবসা সুচারুরূপে সম্পাদিত হইতে পারে, তাহা উপদেশ দিবার নিমিত্ত একটী সুন্দর গল্প বলিতেন । কোন পল্লিতে জনৈক কাঠুরিয়া বাস করিত । সে সন্নিহিত বনে কাষ্ঠাদি সংগ্রহ পূৰ্ব্বক হাটে বিক্রয় করিয়া যৎকিঞ্চিৎ অর্থে পার্জন দ্বারা জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিত। এই কাঠুরিয়াকে দুইবেলা দুই মুঠ। অন্ন ভক্ষণ করিতে দেখিয়া, পল্লির অন্যান্য লোকেরাও ঐ কাঠুরিয়ার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিয়া কাঠ কাটিয়া হাটে বিক্রয় করিতে লাগিল । কাঠুরিয়া কাহাকেও কিছু বলিতে পারিত না । কিন্তু মনে মনে