পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪২৩ ] হইলে বিস্তীর্ণ শালবৃক্ষের বন দেখিতে পাইবে। তুমি আপনি চুপি চুপি তাহ হইতে কাষ্ঠ আহরণ করিতে না যাইয়া তোমার পল্লির লোকদিগকে আহবানপূৰ্ব্বক বলিবে যে, "রাজার নিকট হইতে ঐ বনটী জমা করিয়া লইয়াছি । সুতরাং, উহাতে আমারই স্বত্ব আছে তাহাদের দৈনিক মজুরি দিয়া কাঠ কাটাইয়৷ লও, তোমারও সুবিধা হইবে এবং তাহদেরও সুবিধা হইবে।” কাঠুরিয়া কহিল, “মহাশয় ! তাহাদের মজুরি দিয়া আমার কি লভ্য থাকিবে ।" ব্রাহ্মণ হাসিয়া কহিলেন, নিৰ্ব্বোধ তুমি, তোমার জমা খরচ বোধ নাই। দেখ, মনে কর, যদ্যপি লোকগুলিকে মজুরি হিসাবে চারি আনা দিতে হয়, তুমি তাহাদের দ্বারা ছয় আনা বা আট আনার কার্য্য করাইয়া লইবে । এইরূপে তোমার লভ্য হইবে।” এই বলিয়া ব্রাহ্মণ অদৃশ্য হইলেন । কাঠুরিয়া পুলকিতাস্তরে অনতিবিলম্বে কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইতে আরম্ভ করিয়া কিয়ংকাল মধ্যে এক বিস্তীর্ণ শjলঃক্ষের উদ্যানে প্রবেশ করিল। কাঠুরিয়ার আনন্দের আর অবধি রহিল না। সে গৃহে প্রত্যাগমন পূৰ্ব্বক ব্রাহ্মণের উপদেশমতে প্রতিবাসিদিগকে তাহার কাছে কার্ষ্য করিতে অনুরোধ করিল। তা খারাও তাহাতে বিশেষ সন্তুষ্ট হইল। পরদিবস হইতে কাঠুরিয়া লোকজন দ্বারা কাষ্ঠ কাটাইয়া বিক্রয় করাইতে লাগিল এবং দিন দিন তাহার আর্থিক উন্নতিপক্ষে বিশেষ সুবিধা হইতে লাগিল। কিয়দিবসের মধ্যে এই বনটী নিঃশেষিত হইয়া আসিল। কাঠুরিয়া তখন কি করিবে চিন্তা করিতে লাগিল। পরে তাহার মনে হইল যে, ব্রাহ্মণ ঠাকুর এমন কিছু বলেন নাই যে, এই পৰ্য্যন্ত যাইও, তিনি এগিয়ে যাইতেই বলিয়াছেন, অতএব আরও অগ্রসর হইয়া দেখি । কাঠুরিয়া তৎপরদিন এক সে গুন বৃক্ষের বনে উপস্থিত হইল। ক্রমে সেই কাষ্ঠ