পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

اداره ] সত্ত্বের মাধুর্ঘ্য ভাব, সাত্ত্বিক সাধনায় তাহাই প্রকাশ পায়। রজোগুণের ঐশ্বৰ্য্য ভাব, সত্ত্ব-রজোয় ঐশ্বৰ্য্য ভাবযুক্ত সাধন, এবং সত্ত্ব-তমোয় তামসিক ভাবযুক্ত সাধন এবং সত্ত্ব-রজঃ-তমোয় ত্রি গুণেরই কাৰ্য্য দেখা যায়। পাত্র বিচার দ্বারাই সাধন প্রণালী এই প্রকারে বিভক্ত হইয়াছে। যে ব্যক্তি যে গুণপ্রধান, তাহর পক্ষে সে গুণ বিবৰ্জ্জিত হওয়া সাধ্যাতীত । যেমন পূর্ণ তমোগুণবিশিষ্ট ব্যক্তিকে সত্ত্ব গুণে পরিণত করিতে হইলে তাহার নূতন কলেবর হওয়া উচিত, কিন্তু সাধনারম্ভে সে প্রকার অবস্থাস্তুর হওয়া মনুষ্যসাধ্যাতীত ; সুতরাং তাহার অবস্থার সহিত সন্থযোগ করিয়৷ সাধনদ্বারা ক্রমে ক্রমে অবস্তার পরিবর্তন করা বিধেয় । এই নিমিত্ত তন্ত্রের পঞ্চমকার সংযুক্ত সাধনার সৃষ্টি হয়। এই সাধনা সত্ত্ব-তমে মিশ্রিত । মৎস্য, মাংস, মুদ্রা, মদ্য এবং মৈথুন, এই পঞ্চ মকার তমোভাবে পরিপূর্ণ। সাংসারিক নরনারীরা এই লইয়াই বিভোর হইয়া আছে এবং এই সাধনায় তাহার সিদ্ধ । তমোগুণে কামিনীগত প্রাণ । কামিনী সম্ভেগ ভিন্ন জগতে আর দ্বিতীয় কোন বস্তু নাই বলিয়া তাহাদের ধারণা, এই নিমিত্ত কামিনীর গন্ধ পাইলে তমো গুণী ব্যক্তির অস্থির হইয়া পড়ে। এরূপ প্রকৃতির মনুষ্যদিগকে, কামিনী ত্যাগ কর বলিলে, তাহার। কি কখন তাহাতে সমর্থ হইতে পারে ? যদিও কেহ সাময়িক কৃতকাৰ্য্য হয়, কিন্তু পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণ তমোগুণ থাকে বলিল যে সময়ে কামিনী উদ্দীপক কারণ স্বরূপ হয়,সেই মূহূৰ্ত্তে তাহার সমুদয় সাধন ভজন বিনষ্ট হইয়া যায়। সময়ে সময়ে সাধকদিগের যে পতনকাহিনী শ্রবণ করা যায়, তাহার হেতু এই । রামকৃষ্ণদেব এইজন্য এ প্রকার ব্যক্তিদিগকে সাধনায় নিযুক্ত করিবার পূৰ্ব্বে বলিতেন যে, “তুমি দিন কতক আমৃড়ার অম্বল খাইয়া আইস ।” আমৃড়ার সহিত তিনি কামিনী কাঞ্চনের সাদৃপ্ত দেখাইতেন । এইজন্য আমড়া অর্থে কামিনীকাঞ্চন