পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৩১ ] চাহে না । এগিয়ে যাওয়ার কি ফল, তাহার তাহারাই দৃষ্টাস্তস্বরূপ। যেমন ব্যবসার উন্নতি, তেমনি পরমার্থের উন্নতি হইতে দেখা যাইতেছে। তাহারা পণ্ডিত জ্ঞানী ধীশক্তিসম্পন্ন সভ্যজাতি হইয়া এক কথায় যে রামকৃষ্ণের উপদেশে আত্মবিসর্জন করিল, তাহা সামান্ত আশ্চর্য্যের বিষয় নহে! কিন্তু আশ্চর্য্য হইবার কারণ নাই। কাঠুরিয়ার অবস্থার ন্যায় তাহাদের অবস্থা হইয়াছিল, তাহাদের হৃদয়ে পূৰ্ব্বসঞ্চিত কারণ উপস্থিত ছিল, প্রভুর উপদেশ উত্তেজক কারণস্বরূপ হইয়া কাৰ্য্য করিয়াছে। ভূমি প্রস্তুত হইয়৷ থাকিলে বীজ পতিত হইলেই বৃক্ষ জন্মে। সে যাহা হউক, আপাততঃ আমেরিকাবাসীরাই ধন্য ! তাহারা অন্য অপেক্ষা আগ্রে অগ্র সর হইয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে জিতিয়া গেল । কিন্তু হায়! আমাদের দুর্দশার আর অবধি নাই। আমরা এগিয়ে যাওয়া কাহাকে বলে তাহা জানি না ; জানিতাম, কিন্তু এক্ষণে তাহার সম্যক ভুল জন্মিয়াছে। আর্য্যেরা এগিয়ে যাইতে না জানিলে, র্তাহারা কখন রাজ্য-স্থাপন করিতে পারিতেন না। সুতরাং, সামাজিক উন্নতির পন্থা বিশেষরূপে অবগত ছিলেন । স্কুল জাগতিক পদার্থেই তাহারা সীমাবদ্ধ ছিলেন না। র্তাহার “এগিয়ে যাওয়া” স্বত্রানুসারে অগ্রসর হইয়া পরমাণু পৰ্য্যন্ত গমন করিয়াছিলেন। এগিয়ে না যাইলে সৌর জগতের আভ্যন্তরিক রহস্য কিরূপে র্তাহারা ভেদ করিলেন ? তাহাদের শিল্পাদির উন্নতির পরাকাষ্ঠা দেখিয়া শিল্পপ্রিয় জাতির অদ্যাপি আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতেছে । পারমার্থিক তত্ত্বের চরম সীমার কাণ্ডকারখানা দেখিতে এখনও পৃথিবীর কোন দেশ সক্ষম হয় নাই। যেমন পদার্থবিশেষ হইতে অগ্রসর হইলে ভিন্ন ভিন্ন নুতন পদার্থ লাভ করা যায়, পরমার্থ