পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8૭૨ ] পদার্থ হইতে অগ্রসর হইলেও ভিন্ন ভিন্ন নব নব ভাব প্রফুটিত হয়, তাহা আর্য্যের উপভোগ করিয়া গিয়াছেন। অদ্য সভ্যতম দেশে পার্থিব উন্নতি সাধন করিয়া তৃপ্তি লাভের জন্য আমাদের আর্য্যদিগের পরমার্থ বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার ফলগুলি সংগ্ৰহ করিতে ছেন। তাই মোক্ষমূলার বেদান্ত শাস্ত্র এত যত্বপূর্বক ‘ অধ্যয়ন করিয়া তাহার সার বাহির করিতে পারিয়াছেন । তাই তিনি বিবেকানন্দকে দেখিয়া প্রভুর নামোচ্চারণ পূৰ্ব্বক অশ্রু নিপতিত করিয়াছিলেন । তাই বলি, ধন্য শ্বেত-পুরুষেরা ! তাই আমি আপনার শিরে করাঘাত করিয়া বলিতেছি যে, আমাদের উপায় কি হইবে ? আমরা আর্য্যসস্তান বলিয়া অভিমান করি, আর্য্যশোণিত আমাদের ধমনিতে প্রবাহিত হইতেছে বলিয়া গৰ্ব্ব করিয়া বেড়াই, কিন্তু আৰ্য্যের কোন লক্ষণের কোন সংস্রব রাখি নাই । জামরা সীমাবিশিষ্ট ভাবেই দিন যাপন করিতে বিশেষ পটু। বলিয়াছি যে, আমরা গোলামী পাইলে কখন স্বাধীন-বৃত্তি অবলম্বন করিব না। এগিয়ে যাইতে হইলে চিন্তা চাই, মস্তিষ্কের চালনা চাই । চিস্তা করিব কিরূপে ? মস্তিষ্ক চালনা করিব কিরূপে ? মস্তিষ্ক কি আমাদের আছে, যে চিস্তা করিব ? মস্তিষ্ক বৃদ্ধি এবং সু-আয়তন সম্পন্ন না হইতেই তাহার অযথা অপব্যয় করিয়া অকালে বিলয় প্রাপ্ত হইবার সুরাহ করাইয়া দিই। আর্য্যদিগের দৈনিক জীবনযাত্রার প্রণালী অদ্যাপি শাস্ত্রাকারে ঘরে ঘরে শোভা পাইতেছে, তথাপি আমরা তদনুসারে পরিচালিত হইতে চেষ্টা করি না। সভ্যতম জাতির অর্থাৎ যাহারা এগিয়ে যাইতে শিখিয়াছে, তাহার যেরূপ শরীর গঠন ও মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহা আমরা প্রত্যক্ষ করিতেছি, তথাপি আমরা সেদিকে দৃষ্টিপাত