পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8es j ইঙ্গিতে, নিজ বুদ্ধির পরামর্শে কখন কাৰ্য্য করিতে পারে না । বেতনদাতার যেরূপ অভিপ্রায় সেইরূপ কাৰ্য্য করা চাই। এইরূপে জন্মদিনের মধ্যে আপনার পূর্ব জ্ঞানাদি বিলুপ্ত হইয়া যাইবে । যেমন দুৰ্ব্বল ব্যক্তির শরীর রোগের আশ্রয়স্থান, তেমনি পরাধীন ব্যক্তির মন দুনীতির আশ্রয়স্থল । যেমন দুৰ্ব্বল ব্যক্তির শরীরে কোন রোগের বিষ প্রবেশ করিলে, উহার প্রতিবন্ধক জন্মাইবার কারণভাবে শীঘ্ৰ কাৰ্য্যক্ষম হইয়া থাকে, বলীয়ানের দেহে সেরূপ পারে না। পরাধীন ব্যক্তির মনের বল নাই, দুনীতির প্রগোভন দেখিবামাত্র অমনি তাহাতে পরাজয় লাভ করে । কিন্তু স্বাধীন মনের নিকটে সেরূপ কাৰ্য্য হইতে পারে না । স্বাধীন মন কথন দুনীতির করকবলিত হয় না । যেহেতু, তাহার এগিয়ে যাইতে জানে অর্থাৎ সেই ঘটনার ভাষী ফল বিচার স্বারা স্থির করিতে পারে। পরাধীন ব্যক্তিকে দুর্নীতি ইঙ্গিত করিল যে, বেতনদাতার জর্থ অপহরণ কর, সে তৎক্ষণাৎ তাহাই করিল। কিন্তু একবার ভাবী ফল বিচার করিয়া দেখিল না যে, তাহাকে শ্ৰীঘরে পচিয়া মরিতে হইবে । একজন বারাঙ্গন পরাধীন ব্যক্তির নয়নগোচর হুইবামাত্র তাহার ধৈর্য্যচু্যত হইয়া গেল । সে আপনার কল্যাণ ৰিস্থত হইয়া সেই কালভূজঙ্গিণীর অধীনতা স্বীকার করিল। তাহার কপট প্রণয়ে অভিভূত হইয়া নিজ আবাসবাটতে আনিয়া কামের অভিনয় আরম্ভ করিল । অগ্রপশ্চাৎ দৃষ্টি নাই, সে বুঝিল ন যে, তাহার এই কার্য্যে দুর্নীতির চরমফল ফলিবে । তাহার নিজের • অকল্যাণ, তাহার পরিজনের অকল্যাণ, একথা সে একবারও বুঝিতে পারিল না। . আমাদের কোন প্রকার নীতিশিক্ষা নাই, তাহার উপর এইরূপ দুনীতির অভিনয় দেখিলে সস্তানবর্গের কি শিক্ষা