পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هرگ ] বুঝিতে হইবে। তাহার কামিনীকাঞ্চন রস বোধ হইলে একদিন সে সাধনক্ষেত্রে রক্ষা পাইলেও পাইতে পারে । কিন্তু বাহাদের তমোপ্রকৃতি এবং তাহার কার্য্য আদেী হয় নাই, তাহাদের পরিণাম অতি ভয়ানক | কথিত হইলে যে, তমোপ্রকৃতির গতি প্রকৃতিতে ; এই নিমিত্ত ইহাদের নিকটে সম্বন্ধ বিচার ও স্থান পায় না । তমোগুণী ষেরূপ কামিনী দেখিলে অধৈর্য্য হয়, মাংস মদ পাইলেও সেইরূপ আত্মহার। হইয়া থাকে। অনেকে বার বার মদ মাংস ছাড়িয় থাকেন, কিন্তু পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণ তমোগুণ বিধায় উহার উদ্দীপক কারণ স্বরূপ হইলেই, অমনি তাহ কার্য্যে পরিণত হইয়া যায়। এরূপ দৃষ্টাস্তের অপ্রতুল নাই। সুতরাং এপ্রকার গুণবিশিষ্ট ব্যক্তিকে সত্ত্বগুণে পরিণত করা কাহার সাধ্য ? তমোগুণী ব্যক্তিদিগের কল্যাণের নিমিত্ত তান্ত্রিক পঞ্চ-মকারের স্বপ্ত হইয়াছে। তন্ত্রের মৈথুনাদি সাধনের জন্য যেরূপ ব্যবস্থা আছে, তাহার মৰ্ম্ম বুঝিলেই সাধনার উদেখ বাহির হইয়। আইসে। যাহার ষে বিষয়ের স্পৃহা প্রবল থাকে, তাহার চূড়ান্ত আস্বাদন হইলে, সে বিষয়ে অনাস্থ জন্মিতে পারে । এইরূপ অনাস্থা জন্মিবার সময় যদ্যপি সে তদপেক্ষ উত্তম অবলম্বন পায়, তাহ হইলে সে পূৰ্ব্বভাব পরিত্যাগ করিতে পারে । পঞ্চমকারের সাধনার উপাস্য দেবী কালী, ভাব মা । এই স্মধনায় শ্রীরাধিকাকে দেওয়া হয় নাই । তাহার তাৎপৰ্য্য অনায়াসে বুঝ। যাইতেছে । তন্ত্রোপাসনায় যদ্যপি বৃন্দাবনের ভাব প্রদত্ত হইত, তাহা হইলে ইহা বৰ্ত্তমানকালে যে কতকগুলি গুপ্ত সাধনের সম্প্রদায় জন্মিয়াছে, তাহদের ন্যায় বিকৃতভাবে পর্য্যবসিত হইয়। যাইত। তমোগুণী যদিও মাতৃভাব বিকৃত করিতে অগ্র পশ্চাৎ চাহিয়া দেখে না, কিন্তু গর্ভধারিণী