পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 8ου J পরমার্থ সম্বন্ধে জমা স্থানেও শূন্ত, খরচের স্থানেও শূন্ত । সুতরাং শরীর এবং মনের নিগ্রহ বিধিমতে ঘটিবে, তাহ নিবারণ করিবার উপায় নাই। পাওনাদারের প্রাতঃকালে যখন খাতা বগলে করিয়া দ্বারে উপস্থিত হইয়া আরক্তিম নয়নের ভঙ্গি দেখায়, যখন নুতন নূতন ঢংএর নূতন নূতন বোলচাল দিতে আরম্ভ করে, তখন প্রাণের অবস্থা কি হয়, সে বিষয়ে আমরা বিলক্ষণ ভুক্তভোগী আছি। শমনের উপর শমন যখন আসিল, তখন দশদিক শূন্যময় দেখিতে হইল। ক্রমে দেনার জালায় যথাসৰ্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া দিয়াও গত্যন্তর থাকে না । পরমার্থ জমা নাই, সেই ভীষণ দিনাগত হইবে, যদ্যপি মনে কখন উদয় হয়, তখন কি কাহারও কূল কিনারা পাইবার প্রত্যাশা থাকে ? আত্মার সদগতি হইবার কোন কাৰ্য্য করা হয় নাই, জীবনান্তে উন্নতি লাভ করিব কিরূপে ? প্রভু বলিতেন, “যাহার এখানে আছে, তাহার সেখানেও আছে, যাহার এখানে নাই তাহার সেখানে ও নাই ।” এখানে যাহাকে ঋণগ্রস্ত হইতে হইল, পরমার্থ উপার্জন করিতে যে পারিল না, পরকালে তাহার উপায় কি ? যে অর্থের সংস্থান করিতে পারে, সেই দেশ বিদেশে বিনা ক্লেশে বিনা চিন্তায় দিন যাপন করিতে পারে । অর্থবিহীন লোকের স্বদেশ যেমন কষ্টকর, বিদেশে তাহার বৃদ্ধি ব্যতীত হ্রাস হইবার সম্ভাবনা নাই। অর্থ ইহকালেই বিশেষ সহায়তা করে, কিন্তু পরমার্থ ইহ এবং পরকালের সম্বল। পরমাগতত্ব হৃদয়ে সমুপস্থিত থাকিলে অর্থকেও পরমার্থ পক্ষে ব্যবহার করা যায়। নতুবা উহ। অনর্থের মূলস্বরূপ হইয় অনেক সময়ে সৰ্ব্বনাশ করিয়া থাকে। পৃথিবী কৰ্ম্মস্থল। যে যেরূপ কাৰ্য্য করবে, সে সেইরূপ ফল লাভ করিবে। যে মাতাল হয়, সে রাজদ্বারে দণ্ড পায়, পাহারাওলার বোলায় গমনাগমন করে, অযথা অপমানিত হয়, গৃহপরিজন প্রতিবাসী সকলে