পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 88e আমাদের এখানে কিছুই নাই, যাহা অাছে তাছার ফল অতি ভয়াবহ । সুতরাং, পরকালের অবস্থা অতীব শোচনীয়। অর্থ নাই, পবমাৎ কাহাকে বলে জানি না,আমাদের তবে কি হইবে? আমরা বেশ বেশ্যদের মত সাজিয়া গুজিয়া দেঁতোর হাসি হাসিয়া দিন কাটাইয়া যাইতেছি। আমাদের জীবন খাতাখানা একবার খুলিয়া দেখিতেছি না যে, ব্যবসার অবস্থা কি দাড়াইয়াছে। কত দিন আর ব্যবসা চলিবে। তাই সবিনয়ে প্রভুর আদেশে বলিতেছি, একবার আপনাপন জীবন-খাতাখানা খুলিয়া দেখুন। জমার স্থানে নাপিতের জমার টাকা জমার স্তায় পাপরাশি জমা হইয়া গিয়াছে। যাহা কিছু করিতেছি, সমুদয় জমায় যাইতেছে। খরচ করিবার কিছুই নাই। থাকিবে কি ? ধৰ্ম্মোপার্জন করি নাই। যদ্যপি ধৰ্ম্মোপার্জন করিতাম, তাহা হইলে তাহাই জমা হইত এবং তাহা হইতে খরচ করিবার শক্তি লাভ হইত। পাপ জমায় কল্যাণ হইবে কিরূপে ? আমাদের যে অবস্থা ঘটিয়াছে, তাহাতে শমনরাজও চিন্তিত হইয়াছেন। তাহার আর স্থান নাই, আর র্তাহার বুদ্ধিতে কি নরক আমাদের জন্ত ব্যবস্থা করিবেন, তাহা ভাবিয়া স্থির করিতে পারিতেছেন না। এই অবস্থা দেখিয়া বিশ্বপালক আর নিরস্ত থাকিতে পারিলেন না। তিনি জামাদের দেশে অবতীর্ণ হইয়া যেরূপে কল্যাণ হইবে, তাহার ব্যবস্থা করিয়া যাইলেন। আমাদের মত যাহার এ যাত্রায় একেবারে পূর্ণমাত্রায় দেনদার হইয়াছে, অর্থাৎ যাহাদের পুণ্য কৰ্ম্ম কিছু নাই, ধর্শ্বেপার্জন হয় নাই, নাপিতের মত কেবল পাপ জমা করা হইয়াছে, তাহাদের নিমিত্ত তিনি আপনি বাই প্রসারণ করিয়া বলিয়া গিয়াছেন, “জার জায় যাহারা কুল কিনারা দেখিতে পাইতেছিল না, বাছাদের ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বোধ নাই, বাহাদের এমন কি হরি, কালী, দুর্গ বলিবার স্পছ