পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 88s. J . ধাবিত হইয়াছিল। এইরূপ জমা খরচ কাটিতে আরম্ভ করিলে, অতিসত্বর তাহারা সাধুতা লাভ করিবে । * তাই পুনরায় বলিতেছি যে, আমাদের মত ঋণ গ্রস্ত র্যাহার আছেন, যাহারা পাওনাদারের উৎপীড়নে উত্যক্ত হইয়াছেন, যাহাদের ব্যবস্থা স্থগিত হইয়াছে, তাহার রামকৃষ্ণের পাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করুন। তাহারা কি একথা বুঝিবেন না যে, দিন অতিবাহিত হইয়া গেল, আয়ুস্থৰ্য্য অস্তমিত হইবার উপক্রম করিতেছে, তাহদের কি দশা হইবে ? অার ভাবিবার সময় নাই । রামকৃষ্ণের করুণ, তাহার মেহের প্রচুর দৃষ্টাস্ত দর্শন করিয়া তথাপি আমরা তাহাকে বিশ্বাস করিতে পারিতেছি ন! ! তথাপি অদ্যাপি তাহাকে চিনিতে পারিলাম না । ইহা অপেক্ষা বিড়ম্বনা আর কি আছে ! আমরা কি শুনিতেছি না যে, যখন বিবেকানন্দ মহাত্মা মোক্ষমূলারকে রামকৃষ্ণের কথা বলে, মোক্ষমূলার তখনি সপ্রেমে বলিয়াছিলেন যে, “আমি তাহাকে বহুদিন পূৰ্ব্বে চিনিয়াছি। যখন কেশবচন্দ্র সেনের সহসা পরিবর্তনের কথা আমার কর্ণগোচর হয়, আমি তখনি আশ্চর্য্য হইয়া উহার কারণ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হই । স্বগীয় বল পশ্চাতে না থাকিলে ধৰ্ম্মের এরূপ পরিবর্তন হয় না, ইহা জানিতাম । অনুসন্ধান করিয়া রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে সেই বলের আকর জানিলাম । তদবধি র্তাহার বৃত্তান্ত শুনিতে বড়ই আনন্দিত হই ।” বিবেকানন্দ তদনস্তর বলিয়াছিল যে, “অদ্য হাজার হাজার লোকে তাহাকে পূজা করিতেছে।” বৃদ্ধ প্রেমিক অমনি উৎসাহিত হইয়া বলিয় উঠলেন, “র্তাহাকে পূজা করিবে না ত আর কাহাকে পূজা করিবে ?” মোক্ষমূলার! স্বার্থক জীবন তোমার ! তোমার চরণে আমার কোটি কোটি প্রণাম । . আমরা তাহার সহবাস করিয়া