পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 848 J হওয়ায় রামচন্দ্র বলিয়াছিলেন যে, উহার শক্ত্যনুসারে আমারই কার্য্যের সহায়তা করিতেছে । রামকৃষ্ণদেবের উপদেপ বিস্তার করা সম্বন্ধে আমার কাষ্ঠবিড়ালীর অবস্থার অধিক নহে । রামকৃষ্ণদেব বলিতেন ষে, কার্ষ্য থাকিলেই কারণ থাকিবে । সুতরাং, আমাদের যে অবস্থাপরিবর্তন সংঘটিত হইয়াছে; তাহারও কারণ আছে ; তাহা নির্ণয় করা কৰ্ত্তব্য। আমি সেইজন্যই, প্রথমে ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদি, পরে জাতি ও তৎপরে সমাজসংস্কার বিষয়ে রামকৃষ্ণদেবের উপদেশ লইয়া আলোচনা করিব বলিয়া মনে করিয়াছি। শাস্ত্র, এই কথাটী লইয়া কিঞ্চিৎ বিচার করিলে, শাস্ত্র অর্থে শাসন বলিয়াই বুঝা যায়। পূৰ্ব্বে যখন হিন্দুরাজগণের রাজত্ব ছিল, যখন র্তাহীদের স্বাধীনতা-সূৰ্য্য অস্তমিত হয় নাই, তখন কি বহিঃরাজ্য কি মনোরাজ্য, সকল বিষয়েই, আমাদের শাসন ছিল। আমরা সকলে সেই শাসনাকুযায়ীই পরিচালিত হইতাম । কিন্তু যবন ও স্নেচ্ছের আধিপত্যবিস্তারের সহিতই সে শাসন লুপ্তপ্রায় হইয়া আসিয়াছে। পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণের হস্তে শাস্ত্র নিহিত ছিল, তাহারা যেরূপ উপদেশাদি প্রদান করিতেন, সকলেই তাহা অনুসরণ করিয়া কাৰ্য্য করিত, কিন্তু আজকাল সেই ব্রাহ্মণদিগেরই অধঃপতন হইয়াছে। সুতরাং উপদেষ্টাদিগের অধঃপতনের সহিত আমাদেরও চরম অবনতি হইয়াছে । শাস্ত্র শিক্ষা করিতে হইলে পাত্রের বা অধিকারীর প্রয়োজন । আমাদের সেই পাত্রের অভাব হইয়াছে । আমাদের মানসিক পাত্রের অভাব, সেই জন্য আমরা কোন বিষয় অধ্যয়ন করিতে যাইলেও তাহা পাত্রের অভাবে স্থান পায় না । হিন্দু শাস্ত্র একখানি বা দুইখানি নহে, নানাবিধ লোকের জন্য নানা শাস্ত্রের ব্যবস্থা হইয়াছে। কিন্তু আধুনিক শাস্ত্রজ্ঞ যাহারা, তাহারাই এক