পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 864 ) শাস্ত্রের শ্লোকাদি উদ্ধত করিয়া অপর শাস্ত্রকে খণ্ডন করেন এবং শাস্ত্রের নামে,অশাস্ত্রেরও প্রচলন করিতে কুষ্ঠিত হন না। এই জন্য, সকলেই দেখিতে পান যে, অধিকাংশস্থলেই শাস্ত্রের বিরুদ্ধে কাৰ্য্য চলিতেছে। এই কলিকাতা সহরের বিলাত হইতে প্রত্যাগত কোন এক জন সন্ত্রাস্ত ব্যক্তি, ষে কোন কারণেই হউক, সমাজভুক্ত হইতে চান । ইনি ম্লেচ্ছানীর পানিগ্রহণ করিয়াছিলেন, সুতরাং শাস্ত্রমতে সমাজে উঠিতে পারেন না বলিয়াই অনেকে আপত্তি করেন। এখনকার র্যাহারা বিশিষ্টরূপে শাস্ত্রজ্ঞ ও পণ্ডিতগণের শ্রেষ্ঠ বলিয়া পরিচিত, তাহাদের মধ্যেই একজন পণ্ডিতবর এই ব্যক্তিকে সমাজে তুলিয়া লইবার ব্যবস্থা প্রদান করেন। এই সংবাদ চতুর্দিকে প্রচারিত হইলে পর, তিনি কোন শাস্ত্রমতে ব্যবস্থা দিয়াছেন, তাহ। জিজ্ঞাসা করিবার জন্য পণ্ডিত-মণ্ডলী এক মহাসভা আহত করেন। তিনি এই সভায় উপস্থিত হইয়াই বলেন যে, “এমন কে শাস্ত্রজ্ঞ আছে যে, আমায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করিতে পারে ?” তাহার এই দাস্তিক প্রশ্নেই সকলে নিস্তব্ধ হইয়া যান। তৎপরে একদিন উত্তরপাড়ার পূজনীয় ত্রযুক্ত রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়ের বাটতে তাহার সহিত আমার সাক্ষাৎ হয় । আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, “মহাশয় আপনি কিরূপে এরূপ ব্যবস্থা দিলেন ? ইহা কি শাস্ত্রসঙ্গত ?” তিনি বলিলেন, “শাস্ত্রসঙ্গত না হইলে কি প্রায়শ্চিত্ত হয় ?” রাসবিহারী বাবু এই কথা শুনিয়া কহিলেন, "ভাল মহাশয়! এই প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা তাহার কি দেহ শুদ্ধ হইয়াছে ?” পণ্ডিত মহাশয় অমান বদনে কহিলেন, “ন’ । এই কথা শুনিয়া আমি পণ্ডিত মহাশয়কে পুনরায় বলিলাম যে, “মহাশয় । বলিলেন কি ? তাহার শরীর শুদ্ধ হইল না, তথাপি লোকে জানিল যে, আপনি শাস্ত্রানুসারে তাহার