পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 84૧ ] পদার্থ সকল সৰ্ব্বদা পরিবর্তনশীল। এই একটী বিচি দেখিতেছি, পরে অঙ্কুরিত হইল, পত্র বাহির হইল, কাও প্রকাণ্ড শাখা প্রশাখা ফুল ফলে পরিশোভিত হইল । ফল পাকিয়া গেল, পত্র শুকাইল, বৃক্ষ শুষ্ক কষ্ঠে পরিণত হইয়া গেল। তথায় তাহার পরিবর্তনের পরিসমাপ্তি হইল না। উহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া অগ্নির সহযোগে ভস্মীভূত করা হইল। 轟 ■ মনুষ্যগণ এক সময়ে আণুবীক্ষণিকাবস্থায় অবস্থিতি করিতেছে, ক্রমে বৰ্দ্ধিত হইয়া শিশু, বালক, পেীগণ্ড, যুবা, বৃদ্ধাদি বিবিধ শব্দের দ্বারা তাহাদের অবস্থাস্তরের কথা উল্লিখিত হইতেছে । মনুষ্য মরিল, তাহার দেহ একেবারে বিকৃত হইয়া গেল। আর পূর্বের অবয়ব কিছুই রহিল না । এইরূপ পদার্থ সকল প্রতিমুহূৰ্ত্তে পরিবর্তিত হইয়া স্কুল জগতের বাহুল্যবিধান করিতেছে । আমর। এই স্থূল বস্তু সকলের সহিত নানাভাবে সম্বন্ধগ্রস্ত হইয়া তাহদের ধৰ্ম্মকৰ্ম্মানুসারে পরিচালিত হইতেছি। যখন যে বস্তু প্রচুর পরিমাণে পাইতেছি, তখন আনন্দে মাতিয়া উঠিতেছি এবং যখন তাহাতে বঞ্চিত হইতেছি, তখনি বিষাদ-সাগরে নিমগ্ন হইয়। যাইতেছি। প্রাণপণে চেষ্টা করিয়া ধনোপার্জন করিলাম, আনন্দের সীমা নাই, সুখের অবধি নাই, পরক্ষণে ধননাশ হইয়া গেল, নিরানন্দের চরমসীমায় উপনীত হইলাম । আনন্দরূপিণী কামিণীর করাশ্রয় পূর্বক সংসার বিস্তার করিলাম, দিনযামিনী মুখে অতিবাহিত করিলাম, কতই আনন্দোক্ষ্মী উথলিয়া উঠিল, কিন্তু কালে তাহা একে একে অগাধ সংসার-জলধিতে বিলীন হইয়া গেল। নিরানন্দের আর পরিসীমা রছিল না। মন্থয্যের পদার্থদিগের পরিবর্তনজনিত বিরহ-বিৰাজ অমুক্ষণ