পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8१० ] গৌতম কৃত ন্যায় শাস্ত্রমতে স্কুল জগৎ যুক্তিবিচার দ্বারা বিশ্লেষণ পূৰ্ব্বক নিত্য পরাৎপর পরমাত্মা ঈশ্বরের সত্ত্ব নিরূপণ ও সংশয়াদি ছেদন করিয়া বেদার্থ নির্ণয় হইয়াছে । বৈশেষিক দর্শন প্রণেতা কনদ । এই শাস্ত্রখানি ন্যায়শাস্ত্রের পরিশিষ্ট বলিলেও বলা যাইতে পারে। পরমাণুতত্ত্ব নিরূপণ করাই ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য। পাতঞ্জল দর্শনকে যোগশাস্ত্র কহে । এই শাস্ত্রের বিচারাদি ন্যায়শাস্ত্রের অনুগামী। অাত্মা এবং পরমাত্মা বিশ্বাস করা এবং উহাদের সংযোগসাধন করা, এই শাস্ত্রের উদ্দেশ্য । ইহা চারিপাদে বিভক্ত । যোগের লক্ষণাদি, ক্রিয়াযোগাদি, সাধনপ্রকরণ, ধ্যান ধারণাদি বিভূতিবিবরণ এবং কৈবল্যপ্রাপ্তি অর্থাৎ জীবের নিখিল ব্রহ্মাণ্ডে ব্রহ্মাভাস হইয়া পরমানন্দস্বরূপ পরাৎপর পরমাত্মাতে লীন হইয়া যাওয়া । বিচার দ্বারা বৈদিক মৰ্ম্ম নিম্পাদন করা মীমাংসাশাস্ত্রের উদ্দেশ্য এবং বেদান্তে ব্রহ্মের স্বরূপাদি নিরূপিত হইয়াছে । তিনিই বিশ্ব সংসারের স্বল্প, স্থিতি এবং লয়ের একমাত্র কারণ স্বরূপ। তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান, সৰ্ব্বব্যাপ এবং সৰ্ব্বজ্ঞ। র্তাহার ইচ্ছায় স্বষ্টি হয়, থাকে এবং বিলয় প্রাপ্ত হইয়া থাকে। সুতরাং তিনিই এই পৃথিবীর একমাত্র কারণস্বরূপ। তিনিই জন্মমরণ-আদিঅন্ত-শূন্ত, অনাদি, অক্ষয়, অজর, অদ্বিতীয় বিশ্বাত্মাস্বরূপ। বেদের শিরোভাগকে উপনিষৎ কহে । ইহার সংখ্যা শতাধিক । বিশ্বসংসারের উৎপত্তির কারণ, ব্রহ্মের স্বরূপলক্ষণদি আত্মার বিচার এবং মন ও জড় পদার্থের সম্বন্ধ নির্ণয় করা উপনিষদের অভিপ্রায় । বেদের জ্ঞানকাণ্ডাংশকে উপনিষদ কহা যায়। 劇 聯 電 বড় দর্শন এবং ষড়বেদাঙ্গ শাস্ত্রাদিতে ব্যুৎপত্তি জন্মিলে বেদপাঠের অধিকার লাভ করা যায়। বেদ চারিখানি, ঋক্, সাম, যজুঃ এবং অথব্য। এই বেদ চতুষ্টয় ও শতাধিক উপনিষদ অধ্যয়ন করিলে বেদ