পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8we ) নাই, অধিকাংশ শাস্ত্র চলিত ভাষায় ভাষান্তরিত হইয়াছে। ইংরাজ বাহাদুরেরাও সমুদয় আর্য্যশাস্ত্র উদ্ধার এবং ভাষান্তর করিয়াছেন, যদিও সৰ্ব্বসময়ে ভাবরক্ষা না হউক, কিন্তু নিতান্ত বিরুদ্ধ ভাব প্রকটিত হয় নাই। ফলে এতদ্বারা কি হইবে ? সাধক কোথায় ? ধৰ্ম্মজীবন কোথায় ? ধৰ্ম্মের জলন্ত অাদর্শ কোথায় ? ইহারই অভাব জন্মিয়াছে। সেই অভাব বিমোচনের নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেবের অভু্যদয় হইয়াছিল। এই নিমিত্ত র্তাহার উপদেশই এবং তাহার জীবনই একমাত্র শিক্ষার এবং সাধনের আদর্শবিশেষ । কথিত হইয়াছে যে, তিনি শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন করিয়া জ্ঞান ভক্তি লাভ করেন নাই । র্তাহাকে যখন পাঠশালায় পাঠাইবার ব্যবস্থা হয়, তিনি বলিয়াছিলেন, যে বিদ্যার ফলে চাউল কলা লাভ হয়, আমি সে বিদ্যা শিক্ষা করিব না । কিন্তু তিনি গুরুকরণ করিয়। ছিলেন । গুরুকরণ তর্থাৎ কাহার নিকটে শিক্ষা করা তাহার প্রধান কাৰ্য্য ছিল । গুক ব্যতীত, শিক্ষক বিনা শিক্ষা কাৰ্য্য হয় না, প্তাহার ধ্রুব জ্ঞান ছিল। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে, উপদেষ্টার কখন অভাব হয় না কিন্তু প্রকৃত শিষ্যের সংখ্যা অতি অল্প। এই নিমিত্ত তিনি সৰ্ব্বদা বলিতেন যে, গুরু মিলে লাখ লাখ, চেলা নাহি মিলে এক । শিষ্যত্ব জ্ঞান থাকিলে, শিক্ষা করিবার অধ্যবসায় থাকিলে, তৃণের নিকটেও মহান বিষয় শিক্ষা করা যাইতে পারে। যেমন ক্ষুৎ পিপাসান্বিত দরিদ্র ব্যক্তি পথের ধারে প্রক্ষিক্ত অন্নব্যঞ্জন আনন্দে ভক্ষণ করিয়। থাকে। সে ভাল মন্দ বিচার করে না, পবিত্র . অপবিত্র বিচার করে না, স্থানাস্থান বিচার করে না, তেমনি শিক্ষার্থী গুরুর ভালমন্দ জ্ঞানাজ্ঞান বিচার না করিয়া তদৃপ্রদর্শিত পথামুসারে গমন করিয়া সময়ে গন্তব্য স্থানে নিৰ্ব্বিঘ্নে উপনীত হইয়।