পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭૧ ] পারিলেই কালহিসাবে তাহাকে পূর্ণ বলিতে হইবে। এক্ষণে একদিকে কেবল নাম একদিকে সিকি সত্ত্ব গুণের সাধনা দেখা যাইতেছে । ইহাদের সামঞ্জস্য হইবে কিরূপে ? সত্ত্বগুণী না হইয়া কেবল নাম করিয়া যাইলেই চলিবে অথবা সত্ত্বগুণের সাধন দ্বারা নামাবলম্বন করা বিধেয় ? বৰ্ত্তমান কালের সাধনায় এই দুইটী বিষয় সৰ্ব্বাগ্রে মীমাংসা হওয়া উচিত। যেহেতু, অনেকের এই সম্বন্ধে সৰ্ব্বদা সন্দেহ জন্মিয় থাকে। অনেকে মনে করেন যে, চুরিই করি, মদই খাই, মিথ্যাকথাই বলি, বেখ্যার অধরামৃত পানই করি, স্ত্রী-পুত্রাদির চিরদাসত্বে জীবন অতিবাহিত করিয়াই যাই, একবার ইষ্ট নাম উচ্চারণ করিলেই যথেষ্ট হইবে । এই সাধনায় কি প্রকৃত পক্ষে ভগবান প্রাপ্তি হইবার কথা ? তাহা কখন স্বীকার করা যায় না। শ্ৰীমদ্ভাগবতে নাম সংকীৰ্ত্তন এবং মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রে তান্ত্রিক সাধন কলিকালের জন্য নিদিষ্ট হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ আছে। রামকৃষ্ণদেব এই দুই সাধনাকে তমোমুখচৈতন্য কহিতেন। তমোসংযুক্ত সত্ত্বগুণ এই সাধনের নিদান । যুগধৰ্ম্মে যখন সত্ত্বগুণ সংযুক্ত রহিয়াছে, তখন কেবল নাম সাধন করিলে কখন কোন ফল ফলিতে পারে না। কারণ রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, বিষয়ীর হরি বলা বালকের হরিবলার ন্যায় । বেঙ্গারা কীৰ্ত্তন করিবার সময় নামে যেন মাতিয়া উঠে, থিয়েটারে নাম সংকীৰ্ত্তন হয়, পথে ভিখারীর হরিনাম করিয়া ভিক্ষণ করে, এ সকলকে অবশ্যই নামসংকীৰ্ত্তন কহিতে হইবে । তবে কি এইরূপে নাম সংকীৰ্ত্তন করাই শাস্ত্রের অভিপ্রায় ? এইরূপ নাম সংকীৰ্ত্তন করিলেই কি সকলের পরিত্রাণ হইবে ? অথবা মৎস্য মাংসাদি দ্বারা উদর পূর্ণ করিয়া, বেশ ভূষায় বিভূষিত হইয়া নানা ছাদে কেশ বিন্যাস করিয়া,