পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 896 | সাধারণ ভাবে ধৰ্ম্মালোচনা করা আতঙ্কের বিষয় হইয়া উঠিয়ামছ । কথায় বিশ্বাস করিতে যাইলে আপনাদের চির অভ্যস্ত চির শিক্ষিত কৌলিক সংস্কার পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইতে হয় । জাতি কুলের মস্তকে পদাঘাত করিতে হয়, আ স্ট্রীয় বন্ধুবান্ধববিহীন হইতে হয়, এই নিমিত্ত আমাদের দেশে ক্রমেই অবিশ্বাস আসিয়া সকলের অভ্যস্তরে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে । আমাদের তিন শ্রেণীর শাস্ত্ৰ সত্ত্বেও এইরূপ কাৰ্য্য হইতে দেখিয়াছি । বৈদাস্তিকমতের সন্ন্যাসীর একেবারে অপ্রতুল হয় নাই। মুণ্ডিত মস্তক, গৈরিক পরিচ্ছদ, কমণ্ডলু করে সহস্ৰ সহস্ৰ বৈদান্তিক সাধু এই রাজধানীতে দেখিতে পাওয়া যায়, পুরাণ এবং তন্ত্রাদি বিহিত কাৰ্য্যকলাপ ঘরে ঘরে দেখিতে পাওয়া যায় ; বিশুদ্ধ উপনিষদের ভাবাশ্রয় করিয়া আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । হিন্দু মুসলমান এবং খৃষ্টান ধম্মের সারভাগ সংগ্রহ পূৰ্ব্বক ব্রাহ্মসমাজ চলিতেছে,"র্মশিক্ষা ধৰ্ম্মদীক্ষার একেবারে লোপ হইয়া গিয়াছে, একথা কে বলিতে চাহেন ? তবে ধৰ্ম্মজগতে এই বিসস্বাদ কেন ? কেহ কাহাকে বিশ্বাস করিতে অশক্ত কেন ? বৈদাস্তিক মতকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া পুরাণ তন্ত্রকে অবজ্ঞা করা হয় কেন ? কেনই বা পুরাণকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া পরিগণিত করা হয়, কেনই বা তান্ত্রিক কাৰ্য্যকে কলিকালের মোক্ষ প্রাপ্তির সেতু বলা হয় ? কেনই বা ব্রাহ্মের হিন্দুর উপাসনাকে ঘৃণা করেন, হিন্দুর। ব্রাহ্মদিগকে কি জন্য বিদ্রুপ করেন ? - সকলে ধৰ্ম্ম কথা বলিতে চাহেন, সকলে ধৰ্ম্ম পথে আকর্ষণ করিতে চাহেন, তাহ জানিয়া শুনিয়াও কেহ কাহাকেও বিশ্বাস করিতে চাহেন না। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, বিশ্বাস করিতে যাইলেই আপন সৰ্ব্বনাশ নিমস্ত্রণ করা হয়। আমাদের এই ভীষণ সময়ে আদর্শের প্রয়োজন হইয়াছে,