পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8-9 ] সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । বিশ্বাস করিব কোন শাস্ত্র ? বিশ্বাস করিব কাহাকে ? কথা অতি গুরুতর। মনুষ্যজীবনের গুরুতর কার্য্য বলিয়া যদ্যপি কোন কাৰ্য্য থাকে, তাহ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান । ধৰ্ম্মই ইহ-পরকালের একমাত্র সহায় এবং সম্বল। ধৰ্ম্ম স্থলে অধাৰ্ম্মিক হইলে, ধৰ্ম্ম কাৰ্য্যে মহাপাতকী হইলে, তাহার আর পরিত্রাণ নাই। অজ্ঞান কৃত পাপের প্রায়শ্চিত্ত আছে, কিন্তু জ্ঞানকৃত পাপের উপায় নাই । এইজন্য গুরু লইয়া এত গোলযোগ ঘটিয়াছে, আদর্শ লইয়। বিভ্রাট উপস্থিত হইয়াছে, শাস্ত্র লইয়া বিষম সমস্তায় পতিত হইতে হইয়াছে । আমাদের এইরূপাবস্থায় শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণদেব আবিভূত হইয়া, আপনার জীবন সংগঠন পূর্বক আদর্শ-স্থান অধিকার করিয়া বসিয়াছেন । বিশ্বাস করিতে হয় কিরূপ, বিশ্বাস করিতে হয় কাহাকে, তাহার দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত আর নাই তিনি জীবনে দেখাইয়াছেন যে, সকলের কথায় বিশ্বাস করা উচিত। যে ব্যক্তি সরলভাবে সকলের কথা বিশ্বাস করে তাহার কখন অমঙ্গল হইতে পারে না । বিশ্বাসের কার্য্য অতি পাশ্চর্য্যজনক । বিশ্বাসপ্রস্থত অপূৰ্ব্ব ঘটনাবলী দর্শন সুখ সম্ভোগের অধিকারী বিশ্বাসীই হইয়৷ থাকে । বিশ্বাসের পরাক্রমে মনুষ্য মরিতে বাচিতে পারে। যদ্যপি কাহার বিশ্বাস থাকে যে অমুক তেঁতুল গাছে একটা পেত্নী আছে,অন্ধকার রাত্রে তথায় সহসা উপস্থিত হইয়া বৃক্ষে পক্ষী নড়িতে শুনিলে আতঙ্গে তাহার জীবন সংশয় হইয়া উঠে। বিশ্বাসের মহিমায় রোগী রোগ মুক্ত হয়, এ কথা সাধারণের বিশ্বাস । তারকনাথে হত্যা দিলে প্রত্যাদেশ হয় এবং অনেকে উৎকট ব্যাধি হইতে মুক্তিলাভও করে। তারকনাথে সকলের অন্য বিশ্বাস না থাকিলেও, মনের বিশ্বাস স্বীকার করিতে অনেকেই বাধ্য হইয়া থাকেন। বিশ্বাসের বল কতদূর তাহ বলিয় উঠা যায় না। যদ্যপি কাহারও