পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8-૧ ] মনে বিশ্বাস জন্মাইয়া দেওয়া যায় যে, শীঘ্রই তাহার মৃত্যু হইবে, তাহার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক ফাদার লাফে এ বিষয়ে একটী ঘটনা আমাদিগের নিকট বর্ণনা করিয়াছেন। ইয়োরোপের কোন প্রদেশে দুইজন কয়েদীর প্রাণ দণ্ড হইবার আজ্ঞা হয়। তাহাদের প্রাণনাশ অপরিহার্য্য জানিয়া সেই প্রদেশস্থ বৈজ্ঞানিকের সংস্কারের বল কতদূর পরীক্ষা করিবার জন্য ঐ কয়েদী দুইটকে পরীক্ষার্থে গ্রহণ করেন । দুইজনকেই লইয়া পৃথকভাবে পরীক্ষা করা হয়। " পরীক্ষা করিবার জন্য বৈজ্ঞানিকেরা অনেক কৌশল করিয়া রাখিয়াছিলেন । যখন প্রাণ বধের জন্য এক ব্যক্তিকে ফাসি কাষ্ঠের উপর উত্তোলন করা হয়, সেই সময়ে তাহাকে বলা হইল “দেখ ! রাজা তোমার উপর কৃপা প্রকাশ করিয়া তোমার পরিমুক্তির আজ্ঞা প্রদান করিয়াছেন । তুমি গৃহে চলিয়। যাও।” সে ব্যক্তি আনন্দে বিহাল হইয়া গৃহাভিমুখে চলিল । বৈজ্ঞানিকের ষড়যন্ত্র করিয়া পথের মধ্যে মধ্যে এক একজন দাড়াইয়াছিলেন । যখন ঐ ব্যক্তি, প্রথম বৈজ্ঞানিকের নিকট উপস্থিত হইল, তখনি তিনি বলিয়। উঠিলেন, “কোথায় যাইতেছ, দাড়াও ! দাড়াও ! তোমার মুখ চোখ যে সমস্ত বিবর্ণ হইয়া গিয়াছে, তোমার যে ভয়ানক অবস্থা দেখছি। দাড়াও ! দাড়াও ! কোথায় যাইতেছ!” কয়েদী বলিল—“তা হইতে পারে। এই কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে আমার মানসিক অবস্থা অতিশয় শোচনীয় ছিল, বোধ হয় সেই জন্যই এইরূপ পরিবর্তন হইয়াছে ” এই বলিয়া সে পুনৰ্ব্বার চলিতে আরম্ভ করিল এবং ভাবিতে লাগিল, এ কিরূপ হইল ? কিছুদূর যাইতে না যাইতেই দ্বিতীয় বৈজ্ঞানিকের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল। বৈজ্ঞা