পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৮৯ ] বিশ্বাসের এমনই প্রবল প্রতাপ । সংস্কার বা বিশ্বাস বলে যদ্যপি মানুষের মৃত্যু সংঘটিত হইতে পারে, তাহা হইলে ঈশ্বরলাভের সংস্কার হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়া যাইলে, তাহ কাৰ্য্যকরী না হইবে কেন ? বিশ্বাস মানসিক কাৰ্য্য । মনের বলকে বিশ্বাস কহা যায়। সরলভাবে সকলের কথা বিশ্বাস করিলে যদিও সময়ে সময়ে বিপদের উত্তেজন হয় কিন্তু বিশ্বাসীর বিশ্বাস বলে তাহ হইতে উত্তীর্ণ হইতে পারে। যদ্যপি একবার বিপদই হয় তাহাও স্বীকার তথাপি অবিশ্বাসী হইয়া আত্মঘাতী হওয়া উচিত নহে। কে জানে কোন উপায়ে হরির কপালাভ করা যায় ! কে জানে কাহার কথা বিশ্বাস করিলে হরির চরণ লাভ করা যায় ! বিশ্বাসী হইয়া পার্থিব পদার্থ বিষয়ে প্রতারিত হইলেও পারমার্থিক বস্তু সম্বন্ধে কখন প্রত্যবায় ঘটে না । কোন দেশে এক সরল প্রকৃতির ব্যক্তি বাস করিতেন । সাধু বেশধারী দেখিলেই তিনি একেবারে আনন্দে বিহবল হইয়া যাইতে ন । এই ব্যক্তির ভক্তির জন্য সৰ্ব্বদাই সাধু মহাত্মারা অতিথি হইতেন। বিশ্বাসীর সরল প্রকৃতির কথা প্রচারিত হইলে জনৈক পাষণ্ড মনে করিল যে, বিনা পরিশ্রমে অভিমত ভোজ্য সামগ্ৰী উদর পূর্ণ করিয়া ভক্ষণ এবং প্রয়োজনমত অর্থাদি সংগ্ৰহ করিবার এমন সুবিধা থাকিতে আমি তাহাতে বঞ্চিত হইয়া রহিয়াছি কেন ? এই ভাব্যুি সে পরদিবস সাধুর ভেকাবলম্বন পূর্বক বিশ্বাসীর বাটতে অতিথি হইল । বিশ্বাসীর আনন্দের আর পরিসীমা রহিল না। কপট "সাধু ভোজনাদি পরিসমাপ্তি করিয়া নানা প্রকার বাক্যালাপ করিতে করিতে বলিল,—বাপু তোমার শ্রদ্ধা ভক্তি অতুলনীয়। তুমি আমার শিষ্য হইবার যথার্থ যোগ্যপাত্র। আমি সিদ্ধ-যোগী। মনে করিলে আমি তোমাকে রাজাধিরাজ করিয়া দিতে পারি। বিশ্বাসী