পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ¢०० ] হউক, খ্ৰীষ্ট শাস্ত্র হউক, আর যে কোন জাতীর যে কোন প্রকার শাস্ত্র হউক, রামকৃষ্ণে তাহ সুন্দর রূপে ব্যাখ্যাত হইয়া রহিয়াছে । ধৰ্ম্ম শাস্ত্রীধ্যয়ন করিবার পূৰ্ব্বে একবার রামকৃষ্ণকে অধ্যয়ন করিলে শাস্ত্র পাঠের ফল লাভ হইয়া যাইবে । রামকৃষ্ণ এক অদ্বিতীয় কিন্তু তাহার তার এক অদ্বিতীয় নহে ! সুতরাং প্রত্যেক জাতির প্রত্যেক সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ব্যক্তির নিজ নিজ কৌলিন্তভাব রামকৃষ্ণ হইতে প্রস্ফুটিত হইবার অদ্বিতীয় উপায়। হিন্দু হিন্দুই থাকিবে, মুসলমান মুসলমানই থাকিবে, খ্ৰীষ্টান খ্ৰীষ্টানই থাকিবে, তথায় একাকার হইবে না। একাকার জ্ঞানে —কার্য্যে নহে, ইহাই রামকৃষ্ণদেবের উপদেশ । শাস্ত্র সম্বন্ধে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবোত্ত ভাবের তাৎপর্য্য বাহির করিলে তাহাকে চ জাবন্ত-শস্ত্র বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায়। তাই বলিতেছি যে, বৰ্ত্তমান কালের কালোচিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রই শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব । অন্যশাস্ত্র পাঠ করিতে হইলে, তাহার ভাষা, ব্যাকরণ, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতি শিক্ষা করিতে হইবে, কিন্তু রামকৃষ্ণ-শাস্ত্রের সে বিভীষিকা নাই । আমরা যেমন দুৰ্ব্বল কালর জীব, আমাদের অন্নগত প্রাণ, রোগে শোকে সাংসারিক ক্লেশে অন্নকষ্ট্রে শরীর ও মন লইয়া শাস্ত্রোক্ত ভীষণ নিয়ম প্রতিপালন করা কি আমাদের কৰ্ম্ম ? কঠোর তপশ্চারণ করা কি আমাদের সাধ্য ! মন নাই, সংসারের নানা কার্য্যে তাহা খণ্ড হইয়। গিয়াছে । স্ত্রীতে অৰ্দ্ধেক, সন্তানাদিতে সিকি এবং কার্য্যে সিকি, এইরূপে ষোল আনা মন ব্যয়িত হইয়া গিয়াছে, আমরা ছায়ামন লইয়। বাস করিতেছি । মন নাই, ধ্যান করিবে কে ? ধারণ স্থায়ী হইবে কোথায় ? আমাদের এ অবস্থায় শাস্ত্র মতে কার্য্য হইবে কিরূপে ? সন্ন্যাসী হইতে পারিব না । স্ত্রী পুত্র কন্যা, পিতা মাত ভাই ভগ্নি কোথায় ফেলিয়া দিব ? ভাল বুঝিয়া হউক, আর ভ্রমে পড়িয়াই হউক,