পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i go 8 ) যাহা হইয়াছে, তাহার উপায় নাই। এ অবস্থায় আমাদের সন্ন্যাসী হওয়া হইল না বলিয়। কি কোন উপায় হইবে না ? কিন্তু সন্ন্যাসী না হইলে বেদান্ত শাস্ত্র পাঠের অধিকারী হওয়া যায় না, ইহা শাস্ত্রের অভিপ্রায় । কৰ্ম্মকাণ্ডের কোন শক্তি নাই । প্রীতি নাই, ভক্তি নাই, নিষ্ঠ নাই, প্রেম নাই, কৰ্ম্ম করিব কিরূপে ? কলির সাধারণ নরনারীর এই অবস্থা। শাস্ত্রাদির যেরূপ উদ্দেশ্য, তাহাতে আমাদের অবস্থার ব্যক্তিদিগের কোন আশা ভরসা নাই । আমরা সত্যবাদী হইতে পারিল না, ইন্দ্রিয় সংযম করিতে পারিব না, অনশন ব্ৰতাদি করিতে পাপ্লিব না, শাস্ত্র আমাদের পরিত্যাগ করিল। আমরা কোথায় যাইব ? অামাদের অবস্থা দেখিয়া, আমাদের অনন্তগতি দেখিয়া, আমাদের নিরুপায় দেখিয়া, করুণানিধান দীনবন্ধু দীনের দুঃখ নিবারণার্থ রামকৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । দীনের দুঃখে তিনি কাতর হইয়া দীনোদ্ধারের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন । কৰ্ম্ম না করিলে কৰ্ম্ম স্থত্র কাটে ন}, ইহা শাস্ত্রের মত। শাস্ত্র বজায় রাখিবার জন্য তিনি আপনি সমুদয় কৰ্ম্ম করিয়া কৰ্ম্মফল আমাদের জন্য রাখিয়া গিয়াছেন । আমরা রামকৃষ্ণে—বকলুম দিলে তাহার উপার্জিত কৰ্ম্মফলের দ্বারা আমাদের কৰ্ম্মস্বত্র খণ্ডিত হইবে। এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব আমাদের ন্যায় দুৰ্ব্বল জীবের পরিত্রাতা ।