পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిన ] সাধনের উপায় তিনি নিজে সাধন করিয়া দেখাইয়াছেন যে, উদ্দেশ্যে ভগবান রাখিয়া উদ্দীপক কারণস্বরূপ সংসারের বিভীষিকা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া অনিত্য জ্ঞান লাভ পূৰ্ব্বক, সমবৰ্ত্তী কারণ-রূপ সন্ন্যাস ব্রত লইয়া, পরবর্তী কারণ-রূপ ভক্তসঙ্গে দিন যাপন করিতে হয়। কিন্তু জীব তাহাও ধারণ করিতে পারিল না। রজোতমোভাবে দেহ মন এমনি কলুষিত হইয়। পড়িয়াছিল যে, শ্ৰীগৌরাঙ্গের সাধনার তাৎপৰ্য্য, রূপ সনাতনাদি কয়েকজন ব্যতীত সৰ্ব্বসাধারণে তাহ অনুধাবন করিতে পারে নাই। নিতাইচাদ গৌরাঙ্গদেবাদিষ্ট নাম সাধন সাধারণকে প্রদান পূর্বক অসিদ্ধ মন হইয়া যখন প্রভুর সমীপে তাহ নিবেদন করিলেন, তখন মহাপ্রভু বিষাদিত হইয়া কহিলেন, “ভাইরে! তবে উপায় কি ? জীবের উদ্ধার করিতে আসিলাম, যদ্যপি কেহ সাধন না লইল, তবে তাহাদের উপায় কি হইবে ? আমি ভাবিয়া যে কুল কিনার পাইতেছি না।” শ্ৰীগৌরাঙ্গের এই কথা শ্রবণ করিয়া অনেকের মনে হইতে পারে, যিনি ভগবান, তিনি কি জানিতেন ন যে, কি উপায়ে জীবের কল্যাণ হইবার সম্ভাবনা ? সৰ্ব্বশক্তিবান অন্তৰ্য্যামীর কি এত সংকীর্ণ শক্তি যে, সাধারণ মনুষ্যের ন্যায় কার্য্য বিস্মৃতি এবং কার্য্যের অসম্পূর্ণতার নিমিত্ত অনুশোচনা করিতে হইয়াছিল ? ইহার তাৎপৰ্য্য আছে । মকুষ্যের স্বভাবানুসারে, মনুষ্যের ধারণানুসারে, ভগবান কাৰ্য্য করিয়া থাকেন, গৌরাঙ্গদেব সে সময়ে কেন যে ঐপ্রকার কথা বলিয়াছিলেন, তাহ পরে প্রকাশ করিয়াছেন ; আমি তাহ যথাস্থানে উল্লেখ করিব । শ্ৰীগৌরাঙ্গ নিত্যানন্দদেবের সহিত নানাবিধ কথোপকথনের পর স্থির করিলেন যে, বিনা কৌশলে কোন কাৰ্য্য হইবে না। অতএব কঠোর সন্ন্যাস ভাব সাক্ষাৎ সম্বন্ধে না দেখাইয়া প্রকারাস্তরে তাহার