পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8° J কার্য্য করিতে হইবে । এইরূপ স্থির করিয়া অতঃপর নিত্যানন্দ ঠাকুর প্রচার করিতে লাগিলেন যে, “মাগুর মাছের ঝোল, যুবতী স্ত্রীর কোল, বোল হরি বোল।” মাছের ঝোল, যুবতী স্ত্রীর কোল, এই কথা শ্রবণ করিয়া সকলে ছুটিয়া আসিয়া বলিল, “অবধূত ঠাকুর । এমন সাধন আমরা আবাল বৃদ্ধ বনিত গ্রহণ করিতে পারি।” আনন্দের আর সীমা রহিল না। সকলে বলিতে লাগিল যে, “নিতাইচাদ দরদী বটেন, একেই প্রাণের ব্যথার ব্যর্থী বলা যায় । আহা ! ঠিক্‌ বলেছেন যে, মাছের ঝোল, শুধু চুন চিঙ্গড়ী নহে, মাগুরমাছ, গায়ে রক্তের জোর হইবে। আর যুবতীস্ত্রীর কোল ; স্ত্রী চিরকাল যুবতী থাকিতে পারে না, অতএব ইচ্ছানুসারে যুবতী স্ত্রীতে অর্থাৎ যে কোন কামিনী হউক, গমন করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন । এমন ভাবে যদ্যপি দিনযাপন করা যায়, তাহা হইলে হরিনাম না লইয়া আর কি লইব ? মাছের ঝোলে পেট ঠাণ্ডা করিয়া, যুবতীর বদন ও বক্ষ দর্শনপূর্বক মনে স্মৃৰ্ত্তির রঙ্গভূমি হইবে। তখন প্রাণ খুলিয়া কটির কাপড় ফেলিয়া হরিবোল ভিন্ন আর কোন বোল বলিব না।” নিতাইচাঁদ এইরূপে জীবকে কৌশলপূৰ্ব্বক নাম সাধনা করিতে শিক্ষা দিয়া কি বাস্তবিক ইচ্ছামত যুবতী গমনের দ্বারোদঘাটন করিয়া দিয়াছিলেন ? তাহ কখন নহে । ইচ্ছামত স্ত্রীগমন করাষ্ট কলির ধৰ্ম্ম । ভগবান অবতীর্ণ হইয়া নাম সাধনার ছলে সেই কাৰ্য্যটীর প্রাবল্য দেখাইবার কি অভিপ্রায় ছিল ? র্তাহার অভিপ্রায় তিনিই জানেন । কি জন্য কোন লীলা করেন, লীলারূপে তিনি আপনি না ব্যক্ত ক্ষরিঞ্জে জীবে তাহ কিরূপে অনুধাবন করিতে পারিবে ? রামকৃষ্ণদেব গৌরাঙ্গদেবের এই নাম সাধনার তাৎপর্য্য সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে, প্রত্যহ যুবতী আশ্রয় করিয়া