পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8> . হরিনাম বলিতে গৌরাঙ্গদেব বলেন নাই। এই কথা বলিতে র্তাহার আসিবার কোন প্রয়োজন হয় নাই । শাস্ত্রে নাম সাধনের কথা উল্লেব ছিল এবং লোকেও কামিনী লইয়া সংসার করিতেছিল, তাহার উপরোক্ত কথার ভাবে বরং কামিনীভাব আরও উত্তেজিত হইয়াছে, বলিতে হইবে । যাহা নীতি বিরুদ্ধ, ধৰ্ম্ম বিরুদ্ধ ভাব, সেইভাব কথন সাধনের উদ্দেশ্য হইতে পারে না । তাহার এ কথা বলিবার দুইটী অভিপ্রায় ছিল । যেমন তন্ত্রের পঞ্চ-মকার তমোগুণের সাধন, অবিকল সেইভাব এস্থলেও নিদিষ্ট করিয়াছিলেন । সাধারণ জীবের উদ্দেশ্য কামিনীকাঞ্চন। কিন্তু শ্ৰীগৌরাঙ্গের কৌশলে সেই উদ্দেশ্য স্থলে নাম এবং কারণ স্থলে কামিনী ভাব যাইয়া পরিণত হইয়াছিল। কারণস্বরূপ কামিনীর সহবাসে সাধনপ্রস্থত কার্য্য কখন হরিনাম উদ্দেশ্যের সহিত সামঞ্জস্য হইতে পারে না, সুতরাং সে কার্য্যে তাহাদের তৃপ্তিলাভ ন হইয়া বরং যন্ত্রণার উদ্রেক হইবে । তখন তাহারা, কিরূপে আপনেচ্ছায় উদ্দেশ্য চরিতার্থ হইবে, তাহার চেষ্টা করিতে বাধ্য হইবে । মহাপ্রভুর কথিত যুবতী স্ত্রীর কোল সাধনার উদ্দেশ্য হরিনাম ; কিন্তু সাধারণ জীবের উদ্দেশ কামিনীকাঞ্চন। এই নিমিত্ত সাধারণ জীবের কামিনী সহবাসে উদ্দেশ্য তৃপ্ত হইয়া যায়, সুতরাং তাহাদের আকাঙ্ক্ষা সেই স্থানে পরিসমাপ্তি হইয়া থাকে। কিন্তু উদ্দেশু স্বতন্ত্র এবং তাহার সাধনের কারণ বিপরীত হইলে, তাহার কার্য্যে কখন উদেখা সিদ্ধ হইতে পারে না। ফলে, কার্য্য এবং উদ্দেশ্যের সহিত বিবাদ বিসম্বাদ উপস্থিত হইয় তাহার মন অশান্তির আলয়ম্বরূপ হইয়া দাড়ায় । তখন হয় উদ্দেশ্য ছাড়িয়া দিতে হয়, না হয় কারণ ছাড়িয়া দিতে হয়। যেমন, কাহার শরীরে অমরোগ আশ্রয় করিলে সাধারণ ভোজ্য বস্তু দ্বারা রোগ বৃদ্ধি হয়। যদ্যপি রোগোন্মুক্ত হওয়া যায়, তাহা