পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8२ ] হইলে সাধারণ ভোজ্য বস্তু ত্যাগ করিতে হয় না, কিন্তু কিছুতেই রোগ না কমিলে আহার ছাড়িয়া দিতে হয় ; তেমনি এ ক্ষেত্রে হরিনাম লইয়া কামিনী ত্যাগ করা ব্যতীত গত্যন্তর থাকে না। সচরাচর এ প্রকার ঘটনাও যথেষ্ট দেখা যায়। অদ্য একজন একপ্রকার উদ্দেশ্যে সাধন লয়, দুই দিন পরে সে তাহা পরিত্যাগ করিয়া নিশ্চিন্ত হয় এবং কেহ বা সেই উদ্দেশ্য সাধন করিবার নিমিত্ত নানাবিধ কারণ অনুসন্ধান করিয়া তাহ সফল করিয়া লইতে চেষ্টা করে। মহাপ্রভুর উপরোক্ত উপদেশ দ্বারা জীবের মনে উদ্দেগ্ৰান্তর করিয়া দিবার নিমিত্ত কামিনী কারণ দ্বারা তাহা প্রদান করিয়াছিলেন। যেমন কেহ কুইনাইন সেবন করিতে অস্বীকার করিলে চিকিৎসক রূপার পাতা আবরণপূৰ্ব্বক উহা বটিকাকারে প্রয়োগ করেন, শ্ৰীগৌরাঙ্গের মাছের ঝোল এবং যুবতীর কোল তেমনি বুঝিতে হইবে। দ্বিতীয় তাৎপর্য্য এই যে, নাম সাধনা করিলে নয়নে ধারা বহিবে এবং ভাবাবেশে মৃত্তিকায় লুটাইবে, গৌরাঙ্গদেব তজ্জন্য মাছের ঝোল এবং যুবতী স্ত্রীর কোল বলিয়াছিলেন। এ স্থানে চক্ষুর সহিত মাছের এবং অঞর সহিত ঝোলের তুলনা করা হইয়াছে। কেবল মাছের ঝোল না বলিয়া, মাগুর মাছ বলিবার কি গৌরাঙ্গদেবের কোন উদ্দেশ্য ছিল ? অবশ্যই ছিল স্বীকার করিতে হইবে । মাগুর মাছ রোগীর পথ্য। এ স্থলে বিষম বিষয় জ্বরের উপশমকালে, পথ্যের নিমিত্ত মাগুর মাছের ঝোল স্বরূপ নয়নবারি পতিত হইলে, তবে শান্তিলাভের স্থচনা হয়। যেমন পথ্য পাইলে শরীর স্নিগ্ধ হয়, অশ্রু বহির্গত হইলে তবে হৃদয়ের ভার কমিয়া দেহ প্রফুল্পিত হইয়া থাকে। রোগী পথ্য প্রাপ্ত হইয়া সুকোমল শয্যায় শয়ন করিলে যেমন শাস্তি লাভ করিয় থাকে, তেমনি নাম সাধন করিতে করিতে অশ্রুপতনাস্তে ভাবাবেশে