পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ &S যুগে ব্যাস, বাল্মিকী, কপিল, কণাদ জন্মিয়াছিলেন, র্তাহাদের নামে অদ্যাপি রাজরাজেশ্বর হইতে কৃষক পৰ্য্যন্ত অবনত মস্তকে অবস্থিতি করিতেছেন ; তাহারা মনুষ্য,—প্রকৃত মনুষ্য—যে হেতু মন্থয্যের কৰ্ত্তব্য সাধন দ্বারা তাহারা মনুষ্যপদবাচ্য হইয়াছিলেন। অতএব মনুষ্য হইতে হইলে ঈশ্বর সাধন করা প্রত্যেকের কৰ্ত্তব্য । কিন্তু পুনরায় কথা হইতেছে যে,আমরা যে অবস্থায় পতিত হইয়াছি, সে অবস্থায় সাধন করিব কিরূপে ? আমাদের দুরবস্থা ঘটিবে, তাহ ভগবানের নিয়ম, তন্নিমিত্ত গৌরাঙ্গদেব তাহার ব্যবস্থাও বলিয়া গিয়াছিলেন। ভগবান স্থষ্টিকৰ্ত্তা, স্বষ্টির পাতা, সৰ্ব্ব কার্য্যের বিধাতা তিনি। আমরা যতক্ষণ আমাদের কৰ্ত্তব্য বুঝিয়া চলিতে পারি, তিনি ততক্ষণ নিশ্চিন্ত হইয় তাহ দর্শন করেন। আমরা যখন কৰ্ত্তব্য জ্ঞান বিস্তৃত হইয়া বিপরীত কাৰ্য্য করিতে কৃতসঙ্কল্প হই, তিনি তখন তাহার প্রতিবিধান করিতে বাধ্য হইয়া থাকেন। যেমন রাজ্যে যতদিন শাস্তি বিরাজিত থাকে রাজা ততদিন নিশ্চিন্ত থাকেন, কিন্তু দুৰ্বত্তের উত্তেজনা হইলে তাহার প্রতিবিধান করিতে তিনি ব্যবস্থা করেন । সৰ্ব্বরাজরাজেশ্বর ভগবান, যখন লীলার বিকৃত ভাব বিশিষ্টরূপে বদ্ধমূল হইবার উপক্রম হয়, তখন নিজে অবতীর্ণ হইয়া দেশ, কাল, পাত্রানুযায়ী সুব্যবস্থা স্থাপনপূর্বক প্রস্থান করেন। বৰ্ত্তমান কালের জীব আমরা, সাধনাক্ষম এবং দুৰ্ব্বল, কামিনীকাঞ্চনের দাসত্বে দাসখত লিখিয়া দিয়া দয়ার পাত্র হইয়া পড়িয়াছি। উপায় নাই, সম্বল নাই, বল নাই, ভরসা নাই, আপনার কেহ নাই ; আমরা দাস—ভূত্যের কে আছে ? বন্দীর কে আছে ? অনাথার কে আছে ? পতিতের কে আছে ? মাতালের কে আছে ? লম্পটের কে আছে 1. বেস্তার কে আছে ? নাস্তিকের কে আছে ? কেহ নাই—কেহ নাই—