পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৬৬ ] প্রভু বলিতেন যে, ভাজনা খোলা হইতে যে খৈটা ভূমিতে ছিটুকাইয়৷ পড়ে, সে খৈটী নিদাগী হয়। ভাজন খোলায় যে খৈগুলি থাকে, তাহারা সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়া না যাউক, কিন্তু স্থানবিশেষে কিঞ্চিৎ পোড় দাগ থাকিবেই থাকিবে । সংসারে সাধনা সেই প্রকার। অতি চতুর সাধক হইলেও সাংসারিক ভাবরূপ অন্ততঃ কিঞ্চিৎ দাগ তাহার नंदन লাগিৰেই, তাহাতে সন্দেহ নাই। মনে যদ্যপি কিঞ্চিৎ সাংসারিক ভাব থাকিয়া যায়, তাহা হইলে ধ্যানে ততদুর ব্যাঘাত জন্মিবে, সুতরাং সাধনের পূর্ণ ফললাভ করা গেল না। তিনি আরও বলিতেন, যেমন কোন ফলে যদ্যপি কোন পক্ষীর চঞ্চ্যাঘাত হয়, সে ফল আর ঠাকুরের সেবায় লাগে না, সেইরূপ যে মনে সাংসারিক অর্থাৎ কামিনীকাঞ্চনের ভাব যৎসামান্য রূপেও পতিত হয়, সে মনের দ্বারা কখন ধ্যান হইতে পারে না। অতএব সাংসারিক ভাববিবর্জিত মন ন হইলে তদার। কমিন্‌ কালে ধ্যান করা যায় না। এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব ধ্যানের স্থান বন বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । এক্ষণে কথা হইতে পারে যে, যাহাকে ধ্যান করিতে হইবে, র্তাহকেই সংসার ত্যাগ করিয়৷ বনবাসী হহতে হইবে ? তাহাকেই সাধের স্ত্রী, পুত্রাদি, ধনৈশ্বৰ্য্য, পিতা, মাতা পরিত্যাগ করিতে হইবে ? ধ্যানী হইবার জন্য যাহার বাসনা সঞ্চারিত হইবে, তাহার পক্ষে বনই ব্যবস্থা । কিন্তু এ কথাটা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, সাংসারিক ভাবসংযুক্ত মন লইয়া যদিও কেহ বনে গমন করেন, তথায় তাহার সৰ্ব্বকালে কল্যাণ হয় না। যে সময়ে সাংসারিক অর্থাৎ কামিনীকাঞ্চন ভাব উদ্দীপক কারণস্বরূপ হইবে, সেই সময়ে তাহার পূর্ববর্তী কারণস্বরূপ পূৰ্ব্ব সংস্কার প্রকাশিত হইয়া সমবৰ্ত্তী ও পরবর্তী কারণ সহায়তা করিলে দৈহিক কাৰ্য্যবিশেষ সংঘটিত হইতে কাল বিলম্ব হইবে না। যদিও সমবৰ্ত্তী