পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| سوان ] করিতে পারেন না, কারণ ধ্যান করিতে হইলে মনকে সংসার ভাব হইতে এক কালে পৃথক করিতে না পারিলে কখন ধ্যানী হওয়া যায় না । অতএব ধ্যান করিবার স্থল সংসারের বাহিরে । ধ্যানপরায়ণ নরনারীদিগের স্থান বন, কখন সংসার নহে। সাংসারিক নরনারীদিগের মানসিক উদ্দেশ্যের সহিত ধ্যানীদিগের উদ্দেশ্য কখন মিলিতে পারে না। ইহাদের উভয়ের ভাব সম্পূর্ণ বিরুদ্ধধৰ্ম্মযুক্ত । এক পক্ষের ভাব সংসার ত্যাগ, আর এক পক্ষের ভাব তাহ রক্ষা করা। এই বিরুদ্ধ ভাববিশিষ্ট নরনারীর পক্ষে কখন এক স্থান হইতে পারে না । ইহারা উভয়ে উভয়ের ক্ষতি করিয়া থাকেন। যাহারা সংসারে থাকিয়া সাংসারিক ভাবের মস্তক মুণ্ডন করিতে চেষ্টা করেন, র্তাহাদের পদে পদে সঙ্কটাপন্ন হইতে হয়, এই নিমিত্ত কাৰ্য্যক্ষেত্রে ধ্যনীরাই পরাজিত হইয় থাকেন, সুতরাং ধ্যানীর স্থান সংসার নহে । ধ্যানী বলিলে সোজা কথায় সন্ন্যাসী বুঝায়। সন্ন্যাসী এবং গৃহীর উদ্দেশু এক জাতীয় নহে, তাহাদের সাধনা ও এক জাতীয় নহে, সুতরাং উভয় শ্রেণীর সাধনের স্থানও এক জাতীয় হইতে পারে না । এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব এই দুই শ্রেণীর নরনারীদিগের জন্য তিনটা স্থান নিরূপিত করিয়া গিয়াছেন । এই তিনটা স্থান দ্বারা সাধকদিগকে দুই শ্রেণীতে বিভাগ করা যাইতেছে । ১ম শ্রেণী সন্ন্যাসী, যাহাদের উদ্দেশ্য ধ্যান এবং স্থান সংসারের বাহিরে বা বন ; ২য় শ্রেণী গৃহী, র্তাহাদের স্থান কোণ এবং মন ; অর্থাৎ সংসার । ফলে, সাধনের স্থান দ্বিবিধ, যথা সংসারে থাকিয়া সাধন এবং সংসার ত্যাগ করিয়া সাধনা। সংসারে থাকিয় ধ্যান করা যায় না। তাহার কারণ পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। নানাবিধ ভাব মনে উপস্থিত থাকায় ধ্যান করিবার সময় সেই সকল ভাব আসিয়া