পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १० ] বাস করিলে কামিনীকাঞ্চনের ছায়া ব্যতীত আর কি ভাব তিনি লাভ করিবেন ? যদ্যপি মনে এই ছায়া পতিত হয়, যদ্যপি মনে কামিনীকাঞ্চন স্থান পায়, তাহা হইলে ধ্যানের বিঘ্ন জন্মিয় থাকে এবং ভগবানকে উপলব্ধি করা পক্ষে প্রতিবন্ধক হয়, ধ্যানী সুতরাং লোকালয় পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়া থাকেন । কামিনীকাঞ্চন ভাববিহীন মন কাহাকে কহে, তাহ প্রভু একটা দৃষ্টাস্তের দ্বারা কহিয়া গিয়াছেন। কোন ব্যক্তি র্তাহার স্ত্রীকে সৰ্ব্বদা বলিতেন যে, দেখ তোমার জন্য আমার ইহা পরকাল সমুদয় নষ্ট হইয় গেল। আমি সকল বন্ধন ছেদন করিয়াছি । আমার পিতা মাতার আকর্ষণ র্তাহীদের পরলোক গমনের পরেই বিদূরিত হইয়াছে, এখন একবার তাহদের কথ। স্মরণও হয় না । স্মরণ হইলেও মনে অধিকক্ষণ সে ভাব দাড়াইতে পারে না । পুত্রাদি হয় নাই। পূৰ্ব্বে অপুত্ৰক বলিয়া মনে মনে আক্ষেপ হইত, কিন্তু এক্ষণে সে আক্ষেপ আর নাই । মান সন্ত্রম বিশেষ কিছুই নাই, তাহার জন্য মনে চিন্ত হইবে কেন ? কেবল তুমি একমাত্র আমার ধৰ্ম্ম পথের কণ্টক হইয়াছ, যদ্যপি তুমি মরিয়া যাও, তাহ হইলে আর আমায় উপার্জন করিতে হয় না, আমি স্বচ্ছন্দে সন্ন্যাসী হইয়া গৈরিক বসন পরিধান পূৰ্ব্বক এদেশ ওদেশ করিয়া বেড়াই। বিশেষতঃ, যে স্থানে যাইব, সেই স্থানেই সন্ন্যাসী বলিয়া সমাদৃত হইব । সকলেই যত্ন করিয়া পাথেয় দিবে, আর আনন্দে ইচ্ছামত প্রাণ ভরিয়া ভগবানের শ্ৰীচরণ ধ্যান করিয়া মানব জন্ম সার্থক করিয়া লইব । তাহার স্ত্রী এই কথা শ্রবণপূর্বক কহিলেন, আমি যদ্যপি তোমার সাধনপথে কণ্টক হইয়া থাকি, তুমি আমাকে স্বচ্ছন্দে পরিত্যাগ করিয়া যাও, আমার তাহাতে কোন ক্লেশ হইবে না। আমি বরং আপনাকে ভাগ্যবতী