পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १8 ] যাইব কোথায় ? করিব কি ? যাহা হউক, আমি এখন তোমার নিকট হইতে বিদায় লইলাম, তুমিও যথেচ্ছ গমন কর। মন ভাঙ্গিবার যে কোন সাংসারিক ভাব আছে, তন্মধ্যে কামিনীকাঞ্চন সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রবল। কামিনী শব্দের দ্বারা এমন কথা কেহ মনে না করেন যে, পুরুষেরা সাধু, কামিনীর অপবিত্র এবং পুরুষদিগের সাধুতা নষ্ট করিবার তাহারাই একমাত্র কারণ। রামকৃষ্ণদেব যদ্যপি কামিনী শব্দের দ্বারা এইরূপ ভাব প্রকাশ করিয়। যাইতেন, তাহ। হইলে তিনি কামিনীকে মাতৃস্থান প্রদান করিতেন না । যদিও কামিনী কর্তৃক পুরুষের বিরুত হন, তথায় কামিনী উদ্দীপক কারণস্বরূপ মাত্র বলিয়া দেখা যায় । কিন্তু যে পুরুষের মনে কামিনী-ভাব-রূপ পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণ বা সংস্কার না থাকে, উদ্দীপক কারণ কামিনী তথায় কি কাৰ্য্য করিতে পারেন ? অনেকের মনে কামিনী ভাব মাতৃ রূপে কিম্বা ভগ্নি রূপে অথবা খুড়ী জেঠাই প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অবস্থিতি করে, সে কামিনীর দ্বারা মন কখন বিকৃত হয় না । যখন পঞ্চমবর্ষীয় ধ্রুবের ধ্যান ভঙ্গ করিবার জন্য ইন্দ্রগদি দেবতারা বারাঙ্গনাদিগকে প্রেরণ করিয়াছিলেন, সেই বারাঙ্গনার ধ্রুবের নিকটে যাইয়া উপস্থিত হইবামাত্র তাহদের পয়োধর হইতে পয়োধারা বাহির তষ্টয়া বাৎসল্য ভাবের উদ্রেক হইয়াছিল, এবং ধ্রুবকে পুত্র ভাবে ক্রোড়ে লইতে তাহাদের প্রাণ আকুলিত হইয়াছিল । বারাঙ্গনার ধ্রুবের কামবৃত্তি উত্তেজনা করিবার মানসে উদ্দীপক কারণস্বরূপ গমন করিয়াছিল, কিন্তু একপক্ষে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণের, অপর পক্ষে উদ্দীপক কারণের অভাবে বারাঙ্গনাদিগের অভিপ্রায় সিদ্ধ হয় নাই । পুরুষ এবং স্ত্রীলোকের পক্ষে উভয়ভাব যদ্যপি পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণস্বরূপ বিরাজিত থাকে,তাহা হইলে উভয়ে উভয়ের উদ্দীপক কারণস্বরূপ হইতে