পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १७ ] তাহাদের পক্ষে কামিনীকাঞ্চন উদ্দীপক কারণস্বরূপ হইতে পারে। কিন্তু যাহার সে রসের অধিকার হয় নাই, তাহার পক্ষে কামিনীকাঞ্চন কোন কাৰ্য্য করিতে পারিবে না। সেই স্থলে বন কিজান্ত ব্যবস্থা হইবে ? কুমার বৈরাগী হইলে যদিও সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণের অভাব লক্ষিত হয়, কিন্তু কাম ভাব হইতে সকলের জন্ম হয় বলিয়া সে তাব স্বভাবসিদ্ধ। এই নিমিত্ত উহাকে দূর-পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণ কহ যায় । যখন উদ্দীপক কারণ সদা সৰ্ব্বক্ষণ মানসক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়, তখন ক্রমে সেই দূর-পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণ নিকটবর্তী হইতে থাকে, পরে যে পৰ্য্যন্ত সমবৰ্ত্তী এবং পরবত্তী কারণদ্বয় যোগদান না করে, সে পৰ্য্যস্ত কার্য্য হইতে পারে না । কুমার বৈরাগীদিগের পতন বারম্বার এই কারণচতুষ্টয় দ্বারা সাধিত হইয়া থাকে। এই কারণচতুষ্টয় সংসারে সর্বদ বলবতী আছে, সুতরাং সেই স্থলে কাৰ্য্য হইতে বিলম্ব কত দুর ! কোন উদ্যানে একটি কুমার সন্ন্যাসী সাধন করিতেন । এই কাননটী লোকালয়ের মধ্যস্থলে ছিল বলিয়৷ মধ্যে মধ্যে অনেকেই তাহার নিকটে গমনাগমন করিতেন । সন্ন্যাসী হঠযোগের আসনাদি নেতি ধেীতি প্রভৃতি দেহ শুদ্ধ করিবার বিবিধ প্রক্রিয়াদি দ্বারা শরীরকে অনেক পরিমাণে প্রস্তুত করিয়া আনিয়াছিলেন । তিনি শীতকালে সন্ধ্যার সময় পুষ্কণীর জলে গলা পৰ্য্যন্ত নিমজ্জিত করিয়া ধ্যান করিতে আরম্ভ করিতেন, পর দিন স্তর্য্যোদয় হইলে ধ্যান ভঙ্গ করিয়া উপরে উঠিয়া আসিতেন। গ্রীষ্মকালে চতুদিকে প্ৰজলিত অগ্নি সংস্থাপন পূৰ্ব্বক স্বর্য্যের দিকে এক দৃষ্টিতে চাহিয়া ধ্যানস্থ হইয়া থাকিতেন। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজিয় ধ্যান করিতেন, সময়ে সময়ে রক্ষশাখায় পদ বন্ধনপূর্বক নিয়ে অগ্নিকুণ্ড করিয়া হেঁট মুণ্ডে করযোড়ে ধ্যানে নিমগ্ন থাকিতেন । এইরূপ তপঃপ্রভাবে তাহার অসাধারণ রূপলাবণ্য হইয়াছিল। চক্ষের