পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ११ ] আর বহির্দৃষ্টি ছিল না, সৰ্ব্বদাই যেন কি ভাবিতেছেন, কোন দিকে যেন মন রহিয়াছে । সম্মুখ দিয়া কেহ চলিয়া যাইলে অথবা নিকটে কেহ দাড়াইয়া থাকিলে তিনি জানিতে পারিতেন না। সময়ে কেহ কিছু আনিয়া দিলে হয়ত ভোজন করিতেন । তিনি কখন কলি কাধে করিয়া ভিক্ষায় বহির্গত হইতেন না । তাহাকে দেখিলেই হৃদয়ে ভক্তি ভাবের উদয় হইত। অনেকে অনেক সময়ে তাহার নিকটে অনেক রকম প্রার্থনা করিতেন, কিন্তু তিনি হাসিয়া বলিতেন, গোলামের শক্তি কি ? ক্রমে লোকে তাহাকে সৰ্ব্বদা এইরূপে বিরক্ত করিতে লাগিল, তিনি সময়ে সময়ে স্থানাস্তরে লুকাইয়াও থাকিতেন। এক দিন সন্ধ্যার সময়ে তিনি একাকী বসিয়া আছেন, এমন সময়ে তাহার পূর্বপরিচিত জনৈক সম্লান্ত ধনী ব্যক্তি দর্শন করিতে আসিলেন । নানাপ্রকার কথোপকথনের পর তিনি অতিশয় কাতর ভাবে কহিলেন, প্রভু ! আমার প্রতি আপনার যথেষ্ট রূপ আছে । আমার কোন বিষয়ের অভাব নাই, কিন্তু আমার স্ত্রী নিতান্ত কাতর হইয়া একটী পুত্রের জন্য আপনাকে অনুরোধ করিতে বলিয়াছেন। সাধু ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, গুরুর কৃপায় তোমার পুত্রসন্তান হইবে, কিন্তু দেখো একথা কখন কাহার নিকট প্রকাশ করিও না । সকলে জানিতে পারিলে আমায় আর লোকালয়ে বাস করিতে দিবে না। সাধুর এই আজ্ঞায় ঐ ব্যক্তির কতদূর আনন্দ হইয়াছিল, তাহ অনায়াসে উপলব্ধি করা যাইতে পারে । যাহা হউক, বাস্তবিক বৎসরের মধ্যে সেই ব্যক্তি নবকুমারের মুখাবলেকিন পূৰ্ব্বক পরমানন্দিত হইলেন। যে দিবস এই সাধু শুনিলেন যে, তাহার কথায় অপুত্রকের পুত্র জন্মিয়াছে, সেই দিন তাহার মনে অভিমান যাইয়া অধিকার করিল। তিনি তখন তাহার আপনার শক্তির বিষয় লইয়া অনেক সময় চিন্তা করিতেন,